সামনে দীপাবলি উৎসব। তার আগে কালীপুজো এবং ভাইফোঁটার মতো উৎসব রয়েছে। এই আবহে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন একাধিক মৎস্যজীবী। তবে যে সে মাছ নয়। একেবারে রূপোলি ফসল। অর্থাৎ ইলিশ মাছ। তাও আবার যদি পদ্মার ইলিশ ধরা যায় তাহলে তো আর কথাই নেই। বাড়তি মুনাফা করা যাবে ফিরে এসে সেই মাছ বিক্রি করে। কিন্তু সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। বরং এপার বাংলার মৎস্যজীবীরা ধরা পড়ে গেলেন ওপার বাংলায়। আর তা নিয়ে বিস্তর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এখন তাঁদের কী হবে সেটাই দেখার বিষয়।
এই বছর দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে পদ্মার ইলিশ বাংলাদেশ থেকে এপারে এসেছিল। তাতে দুর্গাপুজোর সময় গৃহস্থদের পাতে পদ্মার ইলিশ মাছ উঠেছিল। দাম খুব কম না হলেও নাগালের মধ্যেই তা কেনা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু কালীপুজোর সময়ও পদ্মার ইলিশ খাওয়ার রেওয়াজ আছে এপার বাংলার মানুষজনের। আর সেই চাহিদা পূরণ করতেই এবং বাড়তি রোজগার করতে নদীর গভীরে গিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা বলে অভিযোগ। আর বাংলাদেশি নৌসেনার হাতে এমন কাজ করতে গিয়ে আটক হলেন কাকদ্বীপের দু’টি মৎস্যজীবীর ট্রলার। এই দু’টি ট্রলারে মোট ৩১ জন মৎস্যজীবী আছেন। এরা প্রত্যেকেই কাকদ্বীপ এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ‘ঘরেতে অভাব’, মামলা–সহ সংসারের খরচ চালাতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ সন্দীপ
এই খবর এখন প্রকাশ্যে আসায় উৎকণ্ঠায় পড়ে গিয়েছেন ওই মৎস্যজীবীদের পরিবার। গত ১১ অক্টোবর এফবি বাসন্তী এবং এফবি জয় জগন্নাথ নামের দুটি ট্রলার ৩১ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে নামখানা ঘাট থেকে রওনা দেয়। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উদ্দেশ্য নিয়েই রওনা দেন তাঁরা। কিন্তু ১৪ অক্টোবর পদ্মার ইলিশ মাছ ধরতে গিয়ে ভারতীয় জল সীমানা পার করে ফেলেন তাঁরা বলে অভিযোগ। আর বাংলাদেশের জল সীমানায় ঢুকে পড়তেই পাকড়াও করা হয় তাঁদের। বাংলাদেশের জল সীমানায় এখন মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা আছে। সুতরাং বিনা অনুমতিতে অন্য দেশের সীমানা পেরিয়ে ঢুকে পড়াটা অপরাধ। তাই তাঁদের আটক করা হয়েছে।