মালদার তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা নেতার হত্যাকাণ্ডের রেশ এখনও কাটেনি। বরং পরতে পরতে উঠে আসছে রোমহর্ষক সব তথ্য। এই আবহে ক্যানিংয়ের অন্তর্গত গোপালপুর পঞ্চায়েত প্রধানকে খুনের হুমকি দেওয়া হল। আর সেই খুনের হুমকি এসেছে হোয়াটসঅ্যাপে। সেখানে আগ্নেয়াস্ত্রের ছবি এবং অডিয়ো বার্তা রয়েছে। এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে উঠেছে এই খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। তাই এখন সেই পঞ্চায়েত প্রধান ক্যানিং থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। খুন হওয়ার আশঙ্কা করার পাশাপাশি যেখান থেকে এই হুমকি এসেছে তা থানায় তুলে ধরেছেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্কে রয়েছে পঞ্চায়েত প্রধানের পরিবার।
নতুন বছর ২০২৫ পড়তেই দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নেতাদের খুন করা হচ্ছে বা খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কারণ ২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন আছে। সেখানে সাংগঠনিক নেতাদের খুন করতে পারলে তা ভোটে প্রভাব পড়বে। তাই মালদার পর এবার ক্যানিং এক ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আকচার মণ্ডলকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বুধবার রাতে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে অজানা নম্বর থেকে বার্তা আসে। সেখানে একটি বন্দুকের ছবি এবং অডিয়ো বার্তা রয়েছে। যেখানে বলা হয়, ‘এটা শুধুমাত্র ট্রেলার। পিকচার আভি বাকি হ্যায়।’ অর্থাৎ পিকচার এখনও বাকি। ওই অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল।
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিসেম্বর মাসের পেনশন–বেতন আসেনি, কী বললেন শিক্ষামন্ত্রী?
আজ, বৃহস্পতিবার এই হোয়াটসঅ্যাপে থাকা ছবি ও অডিয়ো বার্তা নিয়ে ক্যানিং পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন আকচার মণ্ডল। পঞ্চায়েত প্রধান জানেন না কে বা কারা তাঁকে হুমকি দিয়েছে। এই বিষয়ে আকচার মণ্ডল বলেন, ‘বুধবার বেশি রাতে আমার মোবাইলে বন্দুকের ছবি ও অডিয়ো বার্তা আসে। আমাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে সেখানে। কে এই হোয়াটসঅ্যাপ করল সেটা বুঝতে পারছি না। বিধায়ককে তা জানিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি।’ বিষয়টি নিয়ে বিধায়ক পরেশরাম দাসের বক্তব্য, ‘গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আকচার মণ্ডলকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। ভয়েস মেসেজ ও ছবি পাঠিয়ে ওই হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে বিরোধী বা দুষ্কৃতীরা আমাদের নেতা–কর্মীদের খুন করার চেষ্টা করছে। এই হুমকি নিয়ে পুলিশকে তদন্ত করতে অনুরোধ করেছি।’