মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারোদ্ঘাটন করার পর সাধারণের জন্য জগন্নাথধামের দ্বার খুলে দেওয়া হয়েছে। আর তারপর থেকেই ঢল নামল ভক্তদের। কাতারে কাতারে মানুষ এসে ভিড় করলেন জগন্নাথধামে। দিঘার জগন্নাথধামের সামনে জনস্রোত ধরা পড়ল। আজ, বৃহস্পতিবার মে দিবসের ছুটিকে কাজে লাগালেন পর্যটকরা। বুধবার বিকেলের পই জনস্রোত যেন আছড়ে পড়ল দিঘার মন্দির প্রাঙ্গণে। জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে দু’দিন যানবাহনের উপর নিয়ন্ত্রণ ছিল। বুধবার মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনের পর উঠে গেল নিয়ন্ত্রণ। আর আটকে রাখা গেল না পর্যটকদের। সবাই কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়লেন।
এদিকে অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যতিথিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জগন্নাথধামের দারোদ্ঘাটন করার পরই আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বসাধারণের জন্য জগন্নাথধাম খুলে দিতে বলেন। হাজার হাজার মানুষ অপেক্ষায় ছিলেন এই মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য। দ্বার খুলতেই জনস্রোত আছড়ে পড়ল দিঘার মন্দিরে। মানুষ লাইন দিয়ে ঢুকলেন এবং পরপর দরজা পেরিয়ে প্রবেশ করলেন গর্ভগৃহে। অনেকেই সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করলেন। জগন্নাথদেবের দর্শন সেরে নিজেদের যেন ধন্য মনে করছেন আমজনতা। তারপরই উঠল দেদার সেলফি।
আরও পড়ুন: এবার মুর্শিদাবাদ যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, একাধিক কর্মসূচি নিয়ে যাবেন
অন্যদিকে এখন যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে হাসি ফুটল টোটো চালক থেকে শুরু করে হোটেল মালিকদের মুখে। কারণ স্টেশনে নেমেই টোটো–অটোর গন্তব্য হয়ে উঠেছে দিঘার জগন্নাথধাম। তাতে আয় বেড়েছে চালকদের। পর্যটকদের একটাই দাবি, জগন্নাথ মন্দির নিয়ে চলুন। আগামী দিনে এই পরিস্থিতি আরও বাড়বে। এখানে মন্দির লাগোয়া যে কটি হোটেল আছে সেখানে এখন হাউসফুল। কোনও রুম খালি নেই। এমন পরিস্থিতিতে হোটেল মালিকদের পকেটও বেশ চওড়া হচ্ছে। অনেকে তো বলেই ফেললেন, দু’দিনের যে কম আয় হয়েছিল সেটা ক্ষণিকের মধ্যেই পুষিয়ে গেল। তার উপর করোনাভাইরাসের সময় ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছিল। এবার সব একধাক্কায় উঠে আসবে।