খড়্গপুর আইআইটি’তে আবার উদ্ধার হল এক ছাত্রের মৃতদেহ। আজ, রবিবার হস্টেলের একটি রুম থেকে তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। ওই ছাত্রটি আত্মহত্যা করেছেন বলে অনেকে বলছেন। কিন্তু নেপথ্যে খুন নয় তো? এই প্রশ্নও এখন উঠতে শুরু করেছে। এই মৃত্যু নিয়ে রহস্যের দানা বেঁধেছে। এখন ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে স্পষ্টভাবে এখনও কিছু জানা যায়নি। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রের নাম শাওন মালিক (২১)। আইআইটি খড়্গপুরের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তৃতীয় বর্ষে পাঠরত ছিলেন। এই কলেজের হস্টেলেই থাকতেন তিনি। আজ রবিবার সকালে শাওনের সঙ্গে হস্টেলে দেখা করতে এসেছিলেন তাঁর বাবা–মা। তখন তাঁর রুমের দরজা বন্ধ ছিল। একাধিকবার ডাকাডাকি করে কোনও সাড়াশব্দ ছেলের পাননি বাবা–মা। তখন ঘরে প্রবেশ করে শাওনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা। কলকাতার কসবা এলাকার বাসিন্দা এখানে এসে এমন ঘটনা দেখতে হবে তা ভাবতেই পারেননি তাঁরা। এই ঘটনার তদন্তে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। আর আনা হয়েছে স্নিফার ডগ।
আরও পড়ুন: গত ১৩ বছরে কতরকম কাজ করা হয়েছে? উন্নয়নের বই প্রকাশ করতে চলেছে তৃণমূল সরকার
অন্যদিকে এই ঘটনার পর পুলিশ এসে পড়ুয়ার দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। পুলিশ মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে এবং হস্টেল থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ‘আমরা গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছি। সমস্ত দিক যাচাই করে দেখা হবে।’ গত শুক্রবার সকালে রসায়ন বিভাগের একজন জুনিয়র টেকনিশিয়ান সাকির আলি মোল্লার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। আর রবিবারই উদ্ধার হল শাওন মালিকের দেহ। এটাই সকলকে ভাবিয়ে তুলেছে।