দক্ষিণেশ্বরে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি। গুলিতে আহত হয়েছেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। পুলিশ সূত্রে খবর, রহড়ায় একটি কারখানায় ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে এসে গুলির মুখে পড়লেন পুলিশকর্মীরা।তবে পুলিশ শেষ পর্যন্ত কোনওরকমে তিনজন দুষ্কৃতীকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পেরেছে। একটা আগ্নেয়াস্ত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?
সূত্রের খবর, পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে দক্ষিণেশ্বর-আদ্যাপীঠ এলাকায় একটি গেস্ট হাউজে কয়েকজন দুষ্কৃতী গা ঢাকা দিয়েছে। পুলিশ এনিয়ে বিভিন্ন লজে ছবি দেখিয়ে ডাকাতের খোঁজ করছিল। রহড়ায় সম্প্রতি একটি ডাকাতির ঘটনা হয়েছিল। সেই ঘটনার কিনারা করতে গিয়েই পুলিশ ওই লজে হানা দিয়েছিল। লজে ঢুকে পুলিশ অভিযুক্তদের ছবি দেখায়। এদিকে মনে করা হচ্ছে পুলিশ আসছে এটা জানতে পেরেই সক্রিয় হয়ে ওঠে দুষ্কৃতীরা। তারপরই তারা গুলি চালাতে শুরু করে। দ্রুত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ওই গেস্ট হাউজে।
এদিকে গুলি এক সিভিক ভলান্টিয়ারের পায়ে গুলি লাগে। প্রথমে তাকে বেলঘরিয়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় ।
এদিকে হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, পরিচয়পত্র দেখিয়ে তারা রুম নিয়েছিল। ওরা একজন আসে। শুক্রবার সকালে একটি রুম নেয়। পরে আরও একজন আসে। পরে আরও একজন সঙ্গী লজে আসে। তার পনেরো মিনিট পরেই পুলিশ আসে। ২০৯ ও ২০৪ নম্বর রুমে তারা ছিল। তারপর পুলিশ ওপরে ওঠে। তখনই ফায়ারিংয়ে আওয়াজ শুনি। তারপরই সিভিক ভলান্টিয়ার আহত হন। জানিয়েছেন ওই লজের এক কর্তা।
ঘটনার পরে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আর কেউ লুকিয়ে রয়েছে কি না খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে পুলিশ ইতিমধ্যেই হোটেলের রেজিস্টারটি খতিয়ে দেখছে। এর সঙ্গে অন্য কোনও দুষ্কৃতী লুকিয়ে রয়েছে কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, পর্যটকদের ভিড়ে লুকিয়ে থাকার জন্যই তারা দক্ষিণেশ্বর-আদ্যাপীঠ সংলগ্ন ওই লজটি বেছে নিয়েছিল। এদিকে সেখানে একটি ঘরে তিনজনকে থাকার ক্ষেত্রে আপত্তি তুলেছিল লজ কর্তৃপক্ষ। তারপরই অন্য একটি ঘর নেয় তারা। এরপর একে একে তিনজন লজে আসে। কিন্তু সব ছক ভেস্তে গেল শেষ পর্যন্ত।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup