চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুক্রবার গ্রুপ বি'র ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আফগানিস্তান। সেখানে এক কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন আফগান ক্রিকেটার ফজলহক ফারুকি। খেলা চলাকালীন এডেন মার্করামকে ধাক্কা দিয়ে বসেন তিনি। যা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকের বক্তব্য, লজ্জা হওয়া উচিত ফারুকির। প্রাক্তন ক্রিকেটাররা মোটেও এই আচরণকে খেলোয়াড় সুলভ হিসাবে দেখছেন না। সত্যিই কি এরকম ঘটনাকে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই বলা যায়? এরকম একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
পুরো ঘটনাটি ঘটেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের শেষ ওভারে। সেইসময় বল করছিলেন ফারুকি। তাঁর একটি ভালো ইয়র্কার বল ডিফেন্স করেন মার্করাম এবং এক রানের জন্য দৌড়ান। সেইসময় ফারুকি যখন বল করার জন্য নিজের জায়গায় ফিরে আসছিলেন, তখন মার্করামকে নন-স্ট্রাইকার এন্ডে ধাক্কা মারেন। তিনি যখন ঘটনাটি ঘটান, তখন তাঁকে বেশ সিরিয়াস দেখাচ্ছিল। তবে যখন আরও একটু এগিয়ে যান, তখন মার্কারামকে দেখে হাসেন। তবে ধারাভাষ্যকাররা ফারুকির কাজ দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন।
মাঙ্গওয়া: ‘আশ্চর্য যে এটি বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল কিনা। স্পষ্টতই, এটি যথেষ্ট বন্ধুত্বপূর্ণ।’
পোলক: ‘সত্যি কি? বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল কিনা, সেই বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে।’
মাঙ্গওয়া: ‘জানি না ঠিক। যদি বন্ধুত্বপূর্ণ ভাবে এটা করা না হয়ে থাকে, তবে অন্য ভাবে এটা করা যায় না।’
যদিও রিপ্লেতে মার্করামকে রাগতে দেখা যায়নি, যা বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি বাড়িয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল মার্করাম এবং ফারুকি দু’জনই আইপিএলে একই দলের সদস্য। এই দুই ক্রিকেটারই সানরাইজার্স হায়দরাবাদে ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গ্রুপের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হেলায় উড়িয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাট করে বিরাট রানের পাহাড় তৈরি করে প্রোটিয়ারা। ব্যাট হাতে অনবদ্য শুরু করেন ওপেনার রায়ান রিকেলটন। ১০৬ বলে ১০৩ রান করেন তিনি। এছাড়াও হাফ সেঞ্চুরি করেন তেম্বা বাভুমা, রাসি ভ্যান ডার দাসেন এবং এইডেন মার্করাম। ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৫ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০৮ রানে অল-আউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। তাদের হয়ে ব্যাট হাতে একমাত্র লড়াই দেন রেহমাত শাহ। তিনি ৯২ বলে ৯০ রান করেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বল হাতে ৩টি উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিদি এবং উইয়ান মাল্ডার। ১টি করে উইকেট নেন কেশব মহারাজ ও মার্কো জানসেন।