লাহোরে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড ম্যাচের শুরুতে ভারতীয় জাতীয় সংগীত বেজে উঠল। কয়েক সেকেন্ডের জন্য লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে ‘জনগণমন’ বাজানো হয়। ভুল বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। তুমুল রোষের মুখে পড়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। প্রায় তিন দশক পরে যে বোর্ড নিজেদের দেশের মাটিতে কোনও আইসিসি টুর্নামেন্টের আয়োজন করছে, তারা কীভাবে এরকম শিশুসুলভ ভুল করতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। অনেকে খোঁচা দিয়েছেন, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের কোনও ম্যাচ পাকিস্তানে না থাকলেও পিসিবির মাথায় যেন শুধু ভারতই ঘুরছে। তাছাড়া এরকম শিশুসুলভ ভুলের কোনও যুক্তি খুঁজে মিলছে না বলে দাবি করেছেন নেটিজেনরা।
ভারতকে খুব মিস করছে পাকিস্তান, কটাক্ষ নেটপাড়ার!
এক নেটিজেন বলেন, ‘ভারতের কথা ভুলতেই পারছে না।’ একইসুরে কটাক্ষ করে অপর এক নেটিজেন বলেন, 'পাকিস্তানে হাস্যকর ভুল। আয়োজকরা অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত বাজানোর পরিবর্তে ভারতীয় জাতীয় সংগীত বাজিয়ে দেয়। মনে হচ্ছে যে ভারতকে খুব মিস করছে পাকিস্তান।'
খেপে লাল হয়ে গিয়েছেন পাকিস্তানি সাংবাদিকরাও
শুধু নেটিজেনরা নন, আয়োজক পাকিস্তান বোর্ডের সেই মারাত্মক ভুল নিয়ে চূড়ান্ত উষ্মাপ্রকাশ করেছেন সেই দেশের সাংবাদিকরাও। সাংবাদিক সাজ সাদিক বলেন, 'আপনার একটা দায়িত্ব ছিল - ঠিক জাতীয় সংগীত বাজানো। আর অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীতের পরিবর্তে আপনারা ভারতের জাতীয় সংগীত বাজিয়ে দিলেন।'
যদিও বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তান বোর্ডের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। আপাতত কোনও মন্তব্য করা হয়নি বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসির তরফেও। কিন্তু ওই ঘটনায় যে আয়োজক পাকিস্তানের মুখ পুড়েছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বিশেষত লাহোরে তো ভারতের কোনও ম্যাচও নেই। ভারত সমস্ত ম্যাচ খেলবে দুবাইয়ে। সেই পরিস্থিতিতে কীভাবে এমন ভুল হল, সেটার কোনও ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না কেউ।
অজিদের শাসন করছেন ইংরেজরা
আর পাকিস্তানের সেই বিভ্রাট ছাপিয়ে মাঠে আপাতত অস্ট্রেলিয়াকে শাসন করছে ইংল্যান্ড। ১৯ ওভারের শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর দু'উইকেটে ১২৯ রান। ৫২ বলে ৫১ রানে খেলছেন বেন ডাকেট। ৪৩ বলে ৩৯ রানে খেলছেন জো রুট। একটা সময় ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ৫.২ ওভারে দু'উইকেটে ৪৩ রান। উইকেট হারালেও রানের গতি কমায়নি ইংল্যান্ড। বরং নিজেদের ছন্দে খেলে যাচ্ছেন ডাকেট এবং রুট। যা নিশ্চিতভাবে স্টিভ স্মিথদের রক্তচাপ বাড়াচ্ছে। এমনিতেই তাঁরা দলের একাধিক সেরা খেলোয়াড়কে পাচ্ছেন না।