মেলবোর্ন টেস্টের প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ৪৭৪ রান তুললেও ভারত জবাব দিচ্ছিল যথাযথ। তবে দ্বিতীয় দিনের শেষবেলার পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। ভারতীয় দলের ব্যাটফুটে চলে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে কোহলির বিরাট ভুলকেই দায়ি করলেন সঞ্জয় মঞ্জরেকর।
কোহলিকে কাঠগড়ায় তোলা নিয়ে স্টার স্পোর্টসের পোস্ট ম্যাচ শো-এ সঞ্জয় মঞ্জরেকরকে ঝগড়ায় জড়াতে দেখা যায় ইরফান পাঠানের সঙ্গে। তার আগে ধারাভাষ্য দিতে বসে দীপ দাশগুপ্তর সঙ্গেও মতবিরোধ দেখা দেয় মঞ্জরেকরের।
মেলবোর্নে কোহলির ভুলে যশস্বী জসওয়াল রান-আউট হয়েছেন বলে দাবি করেন মঞ্জরেকর। ভারতীয় ইনিংসের ৪০.৬ ওভারে স্কট বোল্যান্ডের বল মিড-অনে ঠেলে দিয়েই রান নেওয়ার জন্য দৌড়ন যশস্বী। কোহলির চোখ ছিল বলের দিকে। বল সরাসরি ফিল্ডারের হাতে চলে যাওয়ায় ক্রিজ ছাড়েননি বিরাট। তবে ততক্ষণে যশস্বী বোলিং প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছেন। দুই ব্যাটার একই প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকায় যশস্বীকে রান-আউট করতে বিশেষ অসুবিধা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার।
নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে আসেন যশস্বী। তিনি ১১৮ বলে ৮২ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। মারেন ১১টি চার ও ১টি ছক্কা। একসময় ২ উইকেটে ১৫৩ রান তুলে ফেলা ভারত দিনের শেষে সংগ্রহ করে ৫ উইকেটে ১৬৪ রান। অর্থাৎ, ১১ রানের মধ্যে ৩টি উইকেট খোয়ায় ভারত। যশস্বীর পরে মাঠ ছাড়েন বিরাট কোহলি ও নাইটওয়াচম্যান আকাশ দীপ।
মঞ্জরেকর এক্ষেত্রে দাবি করেন যে, ক্রিকেটের প্রাথমিক নিয়মই হল, যে ব্যাটারের পিছন দিকে বল যায়, অন্যপ্রান্তের ব্যাটারের কলে সাড়া দিতে হয় তাঁকে। অর্থাৎ, বল কোথায় গিয়েছে না দেখে কোহলির উচিত ছিল যশস্বীর ডাকে সাড়া দিয়ে রান নিতে দৌড়নো। সেক্ষেত্রে রান পূর্ণ হয়ে যেতে পারত। যদি নাও হতো, তাহলে ডেঞ্জার এন্ডে থাকার জন্য রান-আউট হতে পারতেন যশস্বী। সেক্ষেত্রে যশস্বী নিজের ভুলে রান-আউট হয়েছেন বলে ধরে নেওয়া যেত।
কোহলি এক্ষেত্রে যশস্বীর কল শুনতে পাননি বলে অজুহাত দেন। এই বিষয়টিও মানতে পারেননি মঞ্জরেকর। তাঁর দাবি, কোহলি বুঝেছিলেন যে, তাঁর ভুলেই আউট হয়েছেন যশস্বী। তাই কল শুনতে পাননি বলে অজুহাত দেন। কোহলি হীনমন্যতায় ভুগছিলেন বলেই তাঁর ব্যাটিংয়েও প্রভাব পড়ে এবং তিনিও আউট হয়ে বসেন বলে ইঙ্গিত সঞ্জয়ের। সব মিলিয়ে মঞ্জরেকর দাবি করেন যে, কোহলির জন্যই দিনের শেষে বেকায়দায় ভারতীয় দল।