Shakib Al Hasan Retirement-বিশ্বকাপে নামার আগেই বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ও দেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় শাকিব আল হাসান নিজের অবসরের তারিখ ঘোষণা করেছেন। শাকিব বুধবার বলেছেন যে তিনি ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর সব ফর্ম্যাট থেকে অবসর নিতে চান। শাকিব আরও জোর দিয়েছিলেন যে তিনি ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরে দলকে আর নেতৃত্ব দেবেন না। ভারতে একদিনের বিশ্বকাপ খেলতে চলে এসেছে বাংলাদেশ। শুক্রবার প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে তার। তার আগেই অধিনায়কত্ব ছাড়া ও অবসরের কথা জানালেন দলের অধিনায়ক শাকিব আল হাসান।
বিশ্বকাপে যিনি দলকে নেতৃত্ব দেবেন সেই শাকিব হঠাৎ প্রতিযোগিতার আগে অবসরের কথা কেন বললেন সেই প্রশ্ন উঠছে। তামিম ইকবাল অধিনায়কত্ব ছাড়ার পরে বাংলাদেশের একদিনের দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন শাকিব। কিন্তু বিশ্বকাপের পরে আর সেই পদে থাকতে চান না শাকিব। ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে আসার সময় বিতর্কে বিদ্ধ বাংলাদেশ ক্রিকেট। বিশ্বকাপের দলে নেওয়া হয়নি তামিমকে। অথচ কয়েক মাস আগেও তিনি বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন। দল থেকে বাদ পড়ার পরে মুখ খুলেছেন তামিম। তিনি সরাসরি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে বর্তমান অধিনায়ক শাকিবও অবসরের কথা বললেন। বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘বিশ্বকাপের পরে আমি আর দলের অধিনায়ক থাকব না। একটা কথা স্পষ্ট করে দিতে চাই। আমি ১৭ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেছিলাম। কিন্তু তার পরে পাপন (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন) ভাই আর দলের ম্যানেজমেন্ট বলল, আমাকে অধিনায়ক হিসাবে ওদের দরকার। তাই আমি রাজি হয়েছি। আমার জন্য নয়। দলের জন্য।’
নিজের অবসর নিয়েও মুখ খুলেছেন শাকিব। তিনি বলেন, ‘আমি খুব বেশি হলে ২০২৫ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলব। ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরে ছোট ফর্ম্যাট থেকে অবসর নেব। শেষ এক দিনের ক্রিকেট খেলব ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আর টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিশ্বকাপের পরেই অবসর নিতে পারি।’
শাকিব আল হাসান আরও বলেছিলেন যে যখন তাকে অধিনায়কত্বের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তিনি কখনই নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব চাননি। শাকিব বলেন, ‘এটা সম্ভব যে আমি একই সময়ে তিনটি ফর্ম্যাট থেকে অবসর নিতে পারি এবং ভবিষ্যতের কথা কেউ বলতে পারবে না, কিন্তু এই মুহূর্তে আমার মনে এটাই চিন্তা। যতদূর বাস্তবতা আছে, আমি এই বিশ্বকাপ পর্যন্ত অধিনায়কত্ব করব এবং এরপর ওয়ানডেতে অধিনায়কত্ব করব না। আমি একটা জিনিস পরিষ্কার করে দিতে চাই যে - আমি ১৭ সেপ্টেম্বর অধিনায়কের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলাম এবং যখন আমি তা করেছিলাম, তখন আমার ধারণা ছিল না যে এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।’