শুভব্রত মুখার্জি:- কয়েক বছর আগেই ফের একবার তালিবান শাসনের অধীনে এসেছে আফগানিস্তান। কার্যত যুদ্ধবিধ্বস্ত গোটা দেশ এখন ও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে।সেই অবস্থায় তাদের বিনোদন বলতে তা খুবই সীমিত।সেই সীমিত বিনোদন যা তাদের ক্ষণিকের আনন্দ দেয় তার মধ্যে অন্যতম দেশের ক্রিকেট। গত ওডিআই বিশ্বকাপে ও রশিদ খানদের পারফরম্যান্স দেশের মানুষকে দিয়েছে অনাবিল আনন্দ। চলতি টি-২০ বিশ্বকাপ ও তার ব্যতিক্রম হল না। ভারতীয় সময় রবিবার ভোরের দিকে আফগানিস্তান দল সুপার এইটের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম শক্তিধর দেশ অস্ট্রেলিয়ার। আফগানিস্তানের অতিবড় ভক্ত ও হয়তো আশা করেননি যে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তারা জয় পাবেন। সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখিয়েছেন রশিদ খানরা। আর আফগানিস্তানের এই ঐতিহাসিক জয়কে উদযাপন করতে আফগানিস্তানের মানুষদের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতন। রাস্তায় বেরিয়ে আনন্দ করে,নেচে-গেয়ে উদযাপন করল তারা এই ঐতিহাসিক জয়কে।
আরও পড়ুন… ভিডিয়ো: আর একটু হলেই… বাউন্ডারি আটকাতে গিয়ে বড় সংঘর্ষ! অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন জানসেন-রাবাদা
প্রসঙ্গত ২০২৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপে ভারতের মাটিতে অল্পের জন্য অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয় পায়নি আফগানিস্তান। সেদিন ৯১ রানে অস্ট্রেলিয়ার সাত উইকেট ফেলে দেওয়ার পরেও আফগানিস্তান জয় পায়নি। কার্যত এক পায়ে দাঁড়িয়ে সেদিন দ্বিশতরানের একটি বিধ্বংসী ইনিংস খেলে দুরন্ত জয় অজিদের হয়ে ছিনিয়ে নিয়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।রবিবার সেই আফশোস মিটিয়ে সুদে আসলে নিলেন রশিদ খানরা। সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনের আর্নস ভিল গ্রাউন্ডে চলতি টি-২০ বিশ্বকাপে সুপার এইট পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া এবং আফগানিস্তান। শক্তিশালী অজিদের ২১ রানে হারিয়ে দিয়ে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে আফগানিস্তান দল। স্বাভাবিকভাবেই এই জয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন আফগান ক্রিকেট প্রেমীরা। তাদের উৎসাহ,উদ্দীপনা, উন্মাদনা ছিল একেবারে চোখে পড়ার মতন। আফগানিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমীরা রাস্তায় নেমে আসেন।হাজার হাজার মানুষ ছিলেন একেবারে উৎসবের মেজাজে। জয়ের আনন্দ তারা একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নেন।
আরও পড়ুন… URU vs PAN: পানামাকে সহজেই ৩-১ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকা ২০২৪-র অভিযান শুরু করল উরুগুয়ে
আফগানিস্তানের খোস্ত প্রদেশে সবচেয়ে বেশি উৎসব দেখা গিয়েছে মানুষদের। ক্রিকেটপ্রেমীরা রাস্তায় নেমে প্রাণখোলা মেজাজে উৎসব পালন করেছেন। রাস্তায় রীতিমতো ভিড় জমে গিয়েছিল।হাজার হাজার মানুষ একসঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন। অনেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। অনেকেই পায়ে হেঁটে রাস্তায় উৎসব পালনে ব্যস্ত থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই জয় আফগানিস্তানের ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জয় তো বটেই।আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৬টি আইসিসি স্বীকৃত আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে প্রথমবার হারের স্বাদ পেল অস্ট্রেলিয়া। প্রসঙ্গত ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে আফগানিস্তান দল করেছিল ১৪৮ রান। জবাবে ১২৭ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ফলে ২১ রানের ব্যবধানে এক ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নেয় আফগানিস্তান দল।