কর্মসূত্রে সারা ছেড়েছে তাঁর চেনা শহর, কাছের মানুষজনকে। কাজ তাঁকে ভরিয়ে দিয়েছে একাধিক সুন্দর সুন্দর মুহূর্তে। এবারও সারার জীবনের সে রকমই এক সুন্দর মুহূর্তের সাক্ষী থাকলেন তাঁর অনুরাগীরা। ল্যাকমে ফ্যাশন উইকে পোশাকশিল্পী অনামিকা খান্নার পোশাক পরে র্যাম্পে হেঁটে সকলকে মুগ্ধ করলেন সারা সেনগুপ্ত।
অনামিকা খান্নার পোশাক পরে র্যাম্পে হাঁটলেন সারা! Courtesy: anchal seth
কর্মসূত্রে সারা ছেড়েছে তাঁর চেনা শহর, কাছের মানুষজনকে। কিন্তু কাজ যেন তাঁকে ভরিয়ে দিয়েছে একাধিক সুন্দর সুন্দর মুহূর্তে। এবারও সারার জীবনের সে রকমই এক সুন্দর মুহূর্তের সাক্ষী থাকলেন তাঁর অনুরাগীরা। ল্যাকমে ফ্যাশন উইকে পোশাকশিল্পী অনামিকা খান্নার পোশাক পরে র্যাম্পে হেঁটে সকলকে মুগ্ধ করলেন নীলাঞ্জনা-যিশুর বড় মেয়ে সারা সেনগুপ্ত।
ক্যালকাটা টাইমসের শেয়ার করা ছবিতে সারাকে কালো রঙের একটি ডিজাইনার পোশাকে র্যাম্পে হাঁটতে দেখা গিয়েছে। সঙ্গে ধূসর রঙে নানা অ্যাক্সেসরিজে সেজে উঠে ছিলেন নীলাঞ্জনা-কন্যা। তাঁর এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই অনুরাগীরা শুভেচ্ছা বার্তায় ভরিয়ে দিয়েছেন। বাদ যায়নি মা নীলাঞ্জনাও। তিনিও মেয়ের এই কৃতিত্বে যে বিরাট খুশি তা তো বলাই বাহুল্য। নীলাঞ্জনা ক্যালকাটা টাইমসের শেয়ার করা ছবিতে তিনটি কমলা রঙের হার্ট ইমোজি কমেন্ট করেছিলেন। শুধু তাই নয়। তিনি তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে মেয়ের র্যাম্পে হাঁটার ছবি ভাগ করে নিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই আন্তর্জাতিক পোশাক বিপণির হয়েও সারা হেঁটেছিলেন র্যাম্প ওয়ার্কে। তাই সারা পেশা হিসেবে মডেলিংকেই বেছে নিয়ে এগোতে চান। এতে অবশ্য তাঁর মায়েরও সম্মতি রয়েছে।
কিছুদিন আগেই সারা একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে তাঁর অনুরাগীদের সঙ্গে তাঁর কর্মজীবনে নতুন পথ চলার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, 'নতুন জীবন এসে ছেড়ে আসা দিনের কথা খুব মনে পড়ে। পরিবার, বন্ধু, পোষ্যকে নিয়ে আরামদায়ক জীবন। কিন্তু তার বাইরেও একটা জগৎ রয়েছে। আমি আমার কাজকে অবশ্যই ভালোবাসি। আমি আমার কেরিয়ার গড়ার এই জার্নিটাকেও খুব উপভোগ করছি। এখানে নতুন নতুন বন্ধু তৈরি হচ্ছে। এখানেও আমার একটা পরিবার গড়ে উঠেছে। তবে হ্যাঁ, জগতে শুরুতেই মানিয়ে নেওয়া একটু কঠিন। আমিও প্রতিদিন মানিয়ে নেওয়ারই চেষ্টা করছি। কিন্তু তারপরে মনে ভয় বাসা বাধে।'
কিন্তু তাঁর মনের এই ভয় নিয়ে কি দ্বিধাগ্রস্ত সারা? তা নিয়েও অকপটে তিনি বলেন, 'এ রকম সবারই হয়, আমারও তাই হচ্ছে। এটা নতুন কিছু নয়, তাই এটা লুকোনোর কোনও দরকার নেই। জীবটা একটা বইয়ের মতো। সেখানে গল্পটা কীভাবে এগোবে তা আপনার উপরই অনেকটা নির্ভর করবে। তাই সময় নিন। আর জীবনটাকে উপভোগ করুন।'