অস্ট্রেলিয়ার হাতে শোচনীয় সিরিজ হারের পর ইতিমধ্যেই দেশে ফিরেছেন বিরাট কোহলি। সম্প্রতি বৃন্দাবনে প্রেমানন্দ মহারাজের দরবারে মনের শান্তি খুঁজতে পৌঁছেছিলেন তারকা দম্পতি। এবার বিরুষ্কার গন্তব্য আলিবাগ। রবিবার সাত সকালে মুম্বইয়ের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়াতে দেখা মিলল বিরুষ্কার। ফেরিঘাটে লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করছিলেন দুজনে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এই দম্পতির বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো এবং ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল।
আরও পড়ুন-প্রেমানন্দ মহারাজকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম অনুষ্কার! ‘বিরাট ভক্তি’ দেখে চোখে জল ধর্মগুরুর, বললেন-'খেলাই এঁনার সাধনা'
আলিবাগে অনুষ্কা ও বিরাট
গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ায় গাড়ি থেকে নেমে পড়েন দু'জনে। এরপর সোজা হাঁটা লাগান ফেরিঘাটের দিকে। পাপারাজ্জিরা তাদের অভ্যর্থনা জানালেও বিশেষ পাত্তা দেননি দুজনে। ভিডিয়োতে দেখা মেলেনি ভামিকা-অকায়ের। লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করতে করতে অনুষ্কা ও বিরাট নিজেদের মধ্যে কথোপকথনে ব্যস্ত ছিলেন।
এদিন অনুষ্কার পরনে ছিল ডোরাকাটা নীল শার্টের নিচে সাদা টি-শার্ট, কালো শর্টস এবং লাল জুতা। সঙ্গে চোখে গাঢ় রঙের সানগ্লাস। বিরাটের পরনে ছিল কালো পোশাক, সাদা টুপি ও জুতো। এদিন ফেরিঘাটে তারকা দম্পতিকে দেখে উৎসুক জনতার প্রতিক্রিয়া ছিল চোখে পড়ার মতো। বিরাট-অনুষ্কার পিছনে দাঁড়ানো এক মহিলা তো নিজের চোখকে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। তিনি রীতিমতো বিরাট কোহলির দিকে তাকিয়ে তিনি যে আসলেই বিরাট, তা বোঝবার চেষ্টা করেন শুরুতে।
ভামিকার জন্মদিনে সেলিব্রেশন হবে আলিবাগে?
কেন আচমকা আলিবাগে যাচ্ছেন তারকা দম্পতি তা স্পষ্ট নয়। জল্পনা মেয়ে ভামিকা সদ্যই চার পূর্ণ করে পা দিয়েছে ৫-এ। মেয়ের জন্মদিনটা শহর থেকে দূরে একটু নিরিবিলি-তে কাটাতেই হয়ত আলিবাগে পৌঁছেছেন তাঁরা।
বৃন্দাবনে অনুষ্কা-বিরাট ও বিতর্ক
দুই সন্তান ভামিকা ও অকায়কে নিয়ে বৃন্দাবন ধামে প্রখ্যাত আধ্যাত্মিক গুরু প্রেমানন্দ মহারাজের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিরাট-অনুষ্কা। তাদের সফরের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত হয়েছিল। এতে দম্পতিকে আধ্যাত্মিক গুরুর কাছ থেকে আশীর্বাদ চাইতে দেখা গিয়েছে। অনুষ্কা তো রীতিমতো সাষ্টাঙ্গে প্রমাণ করেন গুরুজিকে।
সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তে কম বিতর্ক হয়নি। অনুষ্কা পিকে-তে ধর্মগুরুদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছিলেন, সেই প্রসঙ্গ টেনে ট্রোল করা হয় বিরাট ঘরণীকে। কেউ আবার বলেন, এই ধরণের ভিডিয়ো সোশ্যালে প্রকাশ করে প্রচার করা অর্থহীন।