বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আমদানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করল চিন। বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে এই দাবি জানান ঢাকায় নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি আরও বলেন, 'অধিক বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার করার সুযোগ রয়েছে।' ওয়েন আরও বলেন, '৩০টি চিনা কম্পানি চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। চিনে বাংলাদেশি ইলিশ মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ইলিশ মাছ রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর সুযোগ রয়েছে।' প্রাথমিকভাবে ১ হাজার টন ইলিশ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেন চিনা রাষ্ট্রদূত। (আরও পড়ুন: পুণেকাণ্ডে অভিযুক্ত গ্রেফতার, ধর্ষণের প্রায় ৬৬ ঘণ্টা পর পুলিশের জালে দত্তাত্রেয়)
আরও পড়ুন: রহস্যজনক ভাবে হোটেল ঘরে মৃত্যু TMC বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষী, সঙ্গে থাকা মহিলা আটক
এদিকে প্রতিবছরই বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ আমদানি করা হয়। দুর্গাপুজোর সময়ে মূলত কয়েক হাজার টন ইলিশ এসে থাকে ভারতে। তবে গত ২০২৪ সালে ইউনুসের সরকার ভারতে ইলিশ রফতানি নিয়ে বারবার অবস্থান বদলেছিল। প্রথমে বাংলাদেশ সচিবালয়ের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মন্তব্য করেছিলেন, এবারে আর পুজোর সময় ইলিশ মাছ পাঠানো হবে না ভারতে। পরে আবার ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে দুর্গাপুজো উপলক্ষে ভারতে ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রফতানির অনুমোদন দেয় বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রক। উল্লেখ্য, ইলিশ চিরকালই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যের পাশাপাশি কূটনীতির একটা মাধ্যম ছিল। এদিকে যদি চিনে ইলিশ আমদানির পরিমাণ বাড়ে, তাহলে কি ভারতে কম ইলিশ রফতানি করতে পারে বাংলাদেশ? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিকে চিনের 'ইলিশ খিদে' বৃদ্ধিতে কি এপারে পদ্মার ইলিশের দাম আকাশ ছোঁবে? সেই শঙ্কাও তৈরি হচ্ছে। (আরও পড়ুন: দেখা CBI প্রধানের সাথে, ইমেল মোদী-রাষ্ট্রপতিকে, আরজি করের নির্যাতিতার বাবা জবাব পেলেন…)
আরও পড়ুন: ফের কেঁপে উঠল বাংলা, ভোররাতের ভূমিকম্পে ভাঙল অনেকের 'গভীর ঘুম'
আরও পড়ুন: নয়া প্রধান পাচ্ছে SEBI, শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রকের মাথায় বসতে চলা তুহিন কে?
এর আগে গত ২০২৩ সালের দুর্গাপুজোর সময় বাংলাদেশ থেকে ৫ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রফতানি করা হয়েছিল ভারতে। তবে সেই সময় ছিল হাসিনা সরকার। তবে ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসতেই ইলিশ রফতানি ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। এরই মাঝে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মন্তব্য করেছিলেন যে ইলিশ পাঠানো হবে না। তিনি বলেছিলেন, 'আমরা ইলিশ ভারতে যেতে দিতে পারি না। এটি একটি মূল্যবান মাছ। আমাদের দেশের মানুষ এই মাছ খেতে পান না। কারণ সমস্ত ভারতে এতদিন ভারতে রফতানি করা হত। বাকি যে মাছ থাকে তা আমাদের দেশের মানুষকে বেশি টাকায় কিনতে হয়। ইলিশ অত্যন্ত সুস্বাদু মাছ। দেশের মানুষের চাহিদা মিটলে তারপরে রফতানির কথা ভেবে দেখা যাবে। শেখ হাসিনা দুর্গাপুজোর আগে শুভেচ্ছার বার্তা দিয়ে ভারত কয়েক হাজার টন ইলিশ পাঠাতেন। এর দরকার ছিল না। তাঁর এটা করা উচিত হয়নি।'