শুক্রবারও ভারতের বাজারে দুর্বল থাকল সোনা এবং রুপো। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.১৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮,০১০ টাকা। তার ফলে টানা দু'দিন পতনের পর উত্থানের সাক্ষী থেকেছে হলুদ ধাতু। এক কিলোগ্রাম রুপোর দাম ৬০,৮৩৩ টাকায় অবিচল আছে।
বিশ্ব বাজারে সামান্য বেড়েছে সোনার দাম। এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৭৭৮.৬৬ ডলার। সার্বিকভাবে অবশ্য হলুদ ধাতুর দাম ০.৪ শতাংশ কমেছে। যদি সেই প্রবণতা জারি থাকে, তাহলে টানা চার সপ্তাহ পতনের সাক্ষী থাকবে সোনা। বিশেষজ্ঞদের মতে, মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত পরিসংখ্যানের আগে কিছুটা সতর্ক আছেন বিনিয়োগকারীরা। যা আজই প্রকাশিত হতে চলেছে। তাঁরা সেদিকে নজর রেখেই সতর্কভাবে পা ফেলছেন। তারইমধ্যে অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর মধ্যে বেড়েছে রুপোর দাম। এক আউন্স স্পট সিলভারের দাম ০.২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১.৯৭ ডলার।
মাই গোল্ড কার্টের অধিকর্তা বিদিত গর্গ জানিয়েছেন, একটি নির্দিষ্ট স্তরের মধ্যে সোনা থমকে আছে। আপাতত যাবতীয় নজর আছে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত পরিসংখ্যানের দিকে। যদি এক আউন্স সোনা ১,৭৮৩ ডলারের উপর থাকে, তাহলে তা ১,৭৮২ ডলার ছুঁয়ে ফেলতে পারে।
ভারতের বাজারে সোনার দাম কী হবে?
‘লাইভ মিন্টে’ শেয়ার ইন্ডিয়ার রিসার্চের প্রধান এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট রবি কুমার জানিয়েছেন, ওমিক্রনের সংক্রমণ নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। তার জেরে সোনার দামে হেরফের হচ্ছে। ওমিক্রনের ভয়াবহতা বুঝতে লগ্নিকারীরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) দিকে তাকিয়ে আছেন। আপাতত স্বল্পকালীন সময় ১০ গ্রাম সোনা ৪৭,০০০ টাকা থেকে ৪৬,৮০০ টাকায় সমর্থন পাচ্ছে। যদি ওমিক্রনের সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করে, তাহলে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৫২,৫০০ টাকায় পৌঁছে যেতে পারে। স্বস্তিকা ইনভেস্টমার্টেনর অভিষেক চৌহানের মতে, আগামী কয়েক মাসে ৫২,০০০ টাকার স্তর ছুঁয়ে ফেলতে পারে সোনা। অর্থাৎ বিশেষজ্ঞদের মতে, সোনার দামে রেকর্ড তৈরি হবে কিনা, তা নির্ভর করবে আগামী মাসে ওমিক্রনের সংক্রমণের উপর।