মেঘালয়ের দক্ষিণ গারো পাহাড়ের প্রত্যন্ত এক ছোট্ট নদীতে পাওয়া গেল নতুন এক মাছের প্রজাতি। চার বছর আগে প্রকৃতিপ্রেমী ফারহাম সাংমা এই মাছটি সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর মাছের বিষয়ে উৎসাহ থাকার জেরেই সেটি তিনি সংগ্রহ করেছিলেন। তবে তখন তিনি জানতেন না যা সেই মাছটির বিষয়ে বিজ্ঞান কিছু জানে না। চার বছর আগে, ফারহাম সাংমা চোকপোট গ্রামের কাছে একটি অগভীর, ধীর গতির ছোট্ট নদী থেকে থেকে অদ্ভুত চেহারার একটি মাছ সংগ্রহ করেছিলেন। এই মাছের বিষয়ে আগে কেউ কিছুই জানত না। আর এখন এই মাছটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে চান্না নাচি হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এই নতুন প্রজাতিটি স্নেকহেড মাছেরই একটি প্রজাতি। (আরও পড়ুন: আজ তাপপ্রবাহ থাকবে দক্ষিণবঙ্গের কোন কোন জেলায়? কলকাতায় পারদ কত চড়বে?)
আরও পড়ুন: ভারতে পরমাণু চুল্লি তৈরির অনুমোদন পেল ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিল্পপতির মার্কিন সংস্থা
ফারহাম সাংমা নিজে একজন প্রকৃতি অনুরাগী। তিনি প্রায়শই প্রকৃতির লুকানো বিস্ময় উন্মোচন করার জন্য বনে বনে ঘুরে বেড়ান। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ICAR-সেন্ট্রাল আইল্যান্ড অ্যাগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ডঃ প্রবীণরাজ জে-এর সাথে মিলে এই মাছটি আবিষ্কার করেছেন সাংমা। সম্প্রতি তিনি এই মাছের ছবি শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। গত এক দশক ধরে ডঃ প্রবীণরাজ মাছের ব্যাকটেরিয়াবিদ্যা, পরজীবীবিদ্যা, শ্রেণীবিন্যাস এবং জীববৈচিত্র্যের উপর গবেষণা করে চলেছেন। এহেন ডঃ প্রবীণরাজকে নিজের সংগ্রহের মাছটি দেখিয়েছিলেন সাংমা। তবে তখনও তিনি কল্পনা করতে পারেননি যে তাঁর সাধারণ একটা কৌতূহলের ফলে নতুন মাছের প্রজাতি আবিষ্কার হবে। (আরও পড়ুন: ভারতীয় সেনার পরে এবার বড় পদক্ষেপের পথে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী)
আরও পড়ুন: জঙ্গি নিধনের নামে নিরীহ গুজ্জরদের মারল পাকিস্তান, ক্ষমা চেয়ে খালাস সরকার