বন্যপ্রাণী দত্তক। দার্জিলিং বেড়াতে যাওয়ার পথে অনেকেই এখন একবার শিলিগুড়ি বেঙ্গল সাফারিতে ঘুরে যান। আর সেই বেঙ্গল সাফারিতে আপনি প্রয়োজনে বন্য প্রাণী দত্তক নিতে পারবেন। বাঘ, গন্ডার, কুমীর বেঙ্গল সাফারির তালিকা দেখে আপনার মনের মতো জন্তুকে আপনি দত্তক নিতেই পারেন। তবে এজন্য আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা খরচ করতে হবে। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ৪৪টি জন্তু দত্তক দেওয়া হয়েছে। তবে দত্তক নিয়ে আপনি তাদের বাড়িতে আনতে পারবেন এমনটা নয়।আপনাকে সেই জন্তুকে বেঙ্গল সাফারিতেই রাখতে হবে। কিন্তু তিনি একটি মেম্বারশিপ কার্ড পাবেন। যিনি দত্তক নিচ্ছেন তাঁকে ওই সময়ের মধ্যে পার্কের কাজকর্ম সম্পর্কে আপডেট দেওয়া হবে। তিনি বিভিন্ন কনফারেন্স ও ওয়ার্কশপে অংশ নিতে পারবেন। জন্তুদের ছবিও তাঁকে দেওয়া হবে। এবার দেখে নেওয়া যাক দত্তকের রেটটা ঠিক কীরকম?সাদা রয়াল বেঙ্গল টাইগার দত্তক নিতে গেলে বছরে ২,০০,০০০ টাকা ও মাসে ২০,০০০ টাকা দিতে হবে। সাধারণ বাঘের ক্ষেত্রেও একই রেট। চিতাবাঘের দত্তক নিতে গেলে খরচ হবে মাসিক ১০,০০০ টাকা ও বাৎসরিক ১,০০,০০০ টাকা।এক শৃঙ্গ গন্ডার দত্তক নিতে গেলে আপনাকে খরচ করতে হবে বছরে ১,০০,০০০ টাকা ও মাসিক ১০,০০০ টাকা।হাতি অনেকেই বেশ প্রিয়। এখালে লক্ষ্মী ও উর্মিলা বলে দুটি মহিলা হাতি রয়েছে। এদের দত্তক নিতে গেলে আপনাকে বছরে ২ লাখ ও মাসে ২০,০০০ টাকা দিতে হবে। ভালুক দত্তক নিতে গেলে বছরে ৩০,০০০ টাকা ও মাসে ৩,০০০ টাকা দিতে হবে। বার্কিং ডিয়ারদের জন্য মাসে হাজার টাকা ও বাৎসরিক ১০,০০০ টাকা দিলেই হবে।আপনি পাখিও দত্তক নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে মাসে হাজার টাকা অথবা বছরে ১০,০০০ দিলেই হবে। আপনার যদি কুমীর দত্তক নেওয়ার শখ হয় তবে আপনাকে মাসে খরচ করতে হবে দেড় হাজার টাকা। আর বছরে ১৫,০০০ টাকা। মাত্র ৩০০ টাকা মাসে খরচ করলেই আপনি একটি মিষ্টি কাছিমকে দত্তক নিতে পারবেন। বছরে আপনাকে দিতে হবে ৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ কেউ মাসিক বা কেউ বাৎসরিক হিসাবে দত্তক নিতে পারেন।বেঙ্গল সাফারি সূত্রে খবর,প্রতি মাসে জীবজন্তুদের জন্য় প্রায় ২.৫০ লাখ টাকার মাংস লাগে। প্রতি মাসে ৩ লাখ টাকার ফল, খাদ্যশস্য লাগে। সব মিলিয়ে সেই বিপুল খরচ সামাল দেওয়ার জন্য় ও বন্যপ্রাণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই উদ্যোগ। এতে শামিল হতে পারেন আপনিও।