পানাগড়কাণ্ডে মৃত সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের গাড়িতে থাকা ৪ সঙ্গী বুধবার দুর্গাপুর আদালতে গোপন জবানবন্দি দিলেন। এরই মাঝে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের ডিসিপি অভিষেক গুপ্ত দাবি করেছেন, পুলিশের তদন্ত প্রায় শেষের পথে। এই আবহে শীঘ্রই সংবাদমাধ্যমকে পুরো বিষয়টি জানানো হবে বলে দাবি করেন তিনি। উল্লেখ্য, এর আগে এই ঘটনায় ইভটিজিংয়ের অভিযোগ উঠলেও তা উড়িয়ে দিয়েছিল পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে পুলিশের দাবি ছিল, নিহত তরুণীর গাড়িই অন্য গাড়িতে তাড়া করেছিল। অবশ্য এই ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয়দের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এদিকে ২৫ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে অভিযুক্ত বাবলু যাদবকে আটক করেছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: সোদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু ২ মহিলার, একজনের মৃতদেহ মিলল নৈহাটিতে)
আরও পড়ুন: ঢাকা স্তব্ধ করার হুঁশিয়ারি, গভীর রাত পর্যন্ত পথে শিক্ষার্থীরা, শুরু নয়া আন্দোলন
কেন বাবলুকে আটক করতে পুলিশের এত সময় লাগল না নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রথমে একে রেষারেষির ঘটনা বলেও পুলিশকে কেন অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করতে হল প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও। এই আবহে আনন্দবাজারের রিপোর্টে দাবি করা হল, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে পানাগড়ে পুরনো জিটি রোডে বুদবুদ থানা এলাকায় পেট্রোল পাম্পে দাঁড়িয়েছিল সুতন্দ্রাদের গাড়িটি। সেখান থেকে তেল ভরিয়ে পানাগড়ের দিকে যাচ্ছিল সুতন্দ্রাদের গাড়িটি। তাদের সামনে ছিল সেই অন্য সাদা গাড়িটি। রিপোর্ট অনুযায়ী, পানাগড়ে ঢোকার মুখে সাদা গাড়িটি বাঁ দিকের ইন্ডিকেটর দেয়। জিটি রোডে ওঠার জন্যে সাদা গাড়িটি ইন্ডিকেটর দেওয়ার পরে সেটিকে ওভারটেক করতে যায় তরুণীর গাড়ি। সেই সময় দুই গাড়িতে ঘলা লেগেছিল। তরুণীর গাড়ির একটি চাকা তখন ডিভাইডারে গিয়ে ধাক্কা মারে। (আরও পড়ুন: ফের ভূমিকম্প, এবার ভোররাতে কেঁপে উঠল অসম এবং বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল)