সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে ঘাড়ে পড়েছিল বাঘের থাবা। তারপর মৎস্যজীবীকে জয়নগরের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। রাজ্য সরকারের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড সেখানে দেখানো হয়। আর তাতেই চলছে চিকিৎসা। এমনকী যাবতীয় চিকিৎসার খরচ বহন করছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল। আর তাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের প্রশংসা করলেন বিজেপি প্রার্থীর স্বামী। বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থী কেয়া ঘোষের স্বামী এই পোস্ট করেছেন। যা শেয়ার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ।এই চিকিৎসার বিষয়ে নার্সিংহোমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাঘের হামলায় আক্রান্ত হয়েছিলেন মৎস্যজীবী। তাঁর কাছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ছিল। সেই কার্ডেই তাঁর অপারেশন করা হয়েছে। রোগীর অবস্থা এখন স্থিতিশীল। মৎস্যজীবীর নাম আবু তালেব পিয়াদা। পরিবারের পক্ষ থেকে এই কার্ড নার্সিংহোমকে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই মৎস্যজীবীর বাড়ি কুলতলির জজেরহাট এলাকায়। আবু তালেব পিয়াদা তিন বন্ধুর সঙ্গে কাঁকড়া ধরতে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মইমুর খান এবং আজিম মণ্ডল। তখনই হঠাৎ বাঘ আবু তালেবের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে থাবা বসায়। জঙ্গলে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বাকি দুই বন্ধু তাড়া করলে বাঘ পালিয়ে যায়। তারপর তাঁকে কুলতলির জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেখান থেকে তাঁকে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।ঠিক কী ঘটেছে নার্সিংহোমে? নার্সিংহোম সূত্রে খবর, মৎস্যজীবীর বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যরা এখানে নিয়ে এসে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড দেখান। তখনই তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। সমস্ত খরচ বহন করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি দেখে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করলেন বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষের স্বামী। যিনি নিজেও একজন চিকিৎসক। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনা উল্লেখ করে পোস্ট করেছেন তিনি। এটাই পাল্টা শেয়ার করে কুণাল ঘোষ জানান, এটা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, কেন মানুষ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের ভোট দেন।