আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার পর কলকাতা পুলিশ তদন্ত করেছিল। সেই তদন্ত কেমন ছিল? তদন্ত হয়েছিল নাকি প্রমাণ লোপাট করা হয়েছিল? এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজছে সিবিআই। এই আবহে এবার জুনিয়র ডাক্তারদের চরম কটাক্ষ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। যা নিয়ে এখন গোটা শহরে হইচই পড়ে গিয়েছে। যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ রয়েছে, আরজি কর হাসপাতাল নিয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করবে না, সেখানে রাজারহাট–নিউটাউনের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের এমন কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীকে অবমাননার সামিল।
সিবিআই আগেই দাবি করেছিল, এই ঘটনার পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র কাজ করে থাকতে পারে। আর যেটুকু তথ্য তাঁদের হাতে এসেছে তার ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশের চারজন অফিসারকে সমন পাঠানো হয়েছে। সুতরাং পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করছে। আর এখনও স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তাররা ধরনা করেই চলেছেন। ইতিমধ্যেই এই জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে মুখ্যসচিবের ইমেল পৌঁছেছে। সেখানে আজ, সোমবার বিকেল ৫টায় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন কালীঘাটে বৈঠকে ডাকা হয়েছে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ের এমন কটাক্ষ জোর শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: চার পুলিশ অফিসারকে সমন পাঠাল সিবিআই, ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের’ নেপথ্যে কারা? নয়া মোড় তদন্তে
আগামীকাল, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর হাসপাতালের মামলার শুনানি আছে। আর তাই তেড়েফুঁড়ে নেমেছেন সিবিআই অফিসাররা। আর এই জটিল পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেন, ‘হাততালি দিয়ে ডিস্কো ড্যান্স করে আন্দোলন সফল করা যায় না। এভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যায় না। আন্দোলনের একটা গতিপ্রকৃতি থাকে। তবু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বসে থাকলেন দু’ঘণ্টা। তিনি নিজে আসলেন। সবাইকে বললেন, বাড়িতে ডাকলেন। একটা বাচ্চা ছেলে বৃষ্টিতে ভিজলে বলছেন চা খেয়ে যান। আর কিছু না করুন এক কাপ চা খেয়ে যান।’