সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো দারুণ ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তি মৃত্যুশয্যায় শুয়ে, আর তাঁর পাশে সেই বিছানাতেই শুয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন এক যুবতী। আজকালকার এই সিচুয়েশনশিপ, ব্রেকআপ, ইত্যাদির যুগে এমন ভালোবাসা, বন্ধন দেখে মুগ্ধ নেটপাড়া। কিন্তু এই ভাইরাল যুগল আসলে কে জানেন?
আরও পড়ুন: নিন্দকদের মুখে ছাই দিয়ে একসঙ্গে অভিষেক - ঐশ্বর্য! ডিভোর্সের জল্পনা উড়িয়ে জুটি বেঁধে গেলেন কোথায়?
কারা এই সৃজনা এবং বিবেক?
সম্প্রতি বিবেক প্রয়াত হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। এদিন তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আর তারপরই ভাইরাল হয় তাঁর এবং তাঁর বেটার হাফের একাধিক ভিডিয়ো। এই বিষয়ে বলে রাখা ভালো, বিবেকের এই কঠিন সময় তাঁর স্ত্রী সৃজনা মাঝে মধ্যেই দুজনের ভিডিয়ো বানাতেন, কীভাবে তাঁরা সময় কাটান সেটা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতেন।
বিবেক পাঞ্জেনি এবং সৃজনা সুবেদী নেপালের বাসিন্দা। বিবেক পেশায় একজন গবেষক ছিলেন। গত দুই বছর ধরে তিনি ক্যানসার রোগের সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছিলেন। তাঁর এই কঠিন সময়ে, গোটা লড়াইয়ে তাঁর পাশে ঢাল হয়ে ছিলেন তাঁর স্ত্রী সৃজনা। আগলে রেখেছিলেন। এমনকি কিছুদিন আগে যখন বাইক দুর্ঘটনায় বিবেকের ভাই মারা যান তখনও বিবেককে কাছছাড়া করেননি সৃজনা। এখনও তাঁর প্রোফাইলে চোখ রাখলে তাঁদের নানা মুহূর্তের ভিডিয়ো নজরে পড়বে।
তাঁদের এই রসায়নে মুগ্ধ নেটপাড়া। বিবেকের প্রয়াণ মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। এমন সম্পর্কের শেষ কি আর মানা যায়? যদিও অনেকেই তাঁদের সম্পর্ক, রসায়ন দেখে বাংলার দুজন মানুষের মিল খুঁজে পেয়েছেন। আন্দাজ করতে পারছেন কারা তাঁরা? হ্যাঁ, সব্যসাচী চৌধুরী এবং ঐন্দ্রিলা শর্মা। ঐন্দ্রিলাও ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। তখন তাঁর পাশে সবসময় থেকেছেন তাঁর বিশেষ বন্ধু সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর তিনি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন ভীষণ ভাবে। আর সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন অনেকেই সৃজনা এবং বিবেকের ঘটনায় দেখতে পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রথম দিনেই 'রেকর্ড' গড়ল খাদান! কোন তকমা লাগল দেবের ছবির মুকুটে?
কী বলছেন নেটিজেনরা?
এক ব্যক্তি লেখেন, 'চারিদিকে এতো ভালোবাসার পূর্ণতা র মাঝখানে আবার ও একটা অসমাপ্ত ভালোবাসা গল্প রয়ে গেল।' আরেকজন লেখেন, 'ভালবাসার সত্যিই কখনও মৃত্যু হয় না, সকলের মনে থেকে যাক তাদের এই স্বার্থপর সমাজের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা।' তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'এঁদের ভালোবাসা আমাদের যেমন ভালোবাসা শিখিয়ে গেল সেরকমই ওঁঁদের প্রেম ও অমর হয়ে থেকে যাবে এই বিশ্বে।'