গোমূত্র সারাতে পারে বহু রোগ। এমনই দাবি করে আইআইটি মাদ্রাজের ডিরেক্টর ভি কামকোটি বলেছেন, ‘গোমূত্র অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি ফাঙ্গাল’। তাঁর দাবি, যে সমস্ত রোগ গোমূত্র সারাতে পারে, তারমধ্যে রয়েছে ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোমের মতো বিষয়ও। এদিকে, রাজনীতির আঙিনায় আইআইটি মাদ্রাজের ডিরেক্টরের এই বক্তব্য নিয়ে বেশ তোলপাড় শুরু হয়েছে।
গোমূত্র নিয়ে নানান সময়ে বহু ব্যক্তিত্বই বক্তব্য রেখেছেন। তা নিয়ে বিতর্কও হয়েছে বিস্তর। এবার আইআইটি মাদ্রাজের ডিরেক্টর ভিজিনাথন কামকোটি গোমূত্র নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন,'গোমূত্রের অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যগুলি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে... মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ জার্নালগুলি বৈজ্ঞানিক প্রমাণ প্রকাশ করেছে।' উল্লেখ্য, বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে অধ্যাপক কামকোটি কাজ করছেন সেটি হল কম্পিউটেশনাল জ্যামিতি। আইআইটি মাদ্রাজের কম্পিউার সায়ান্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওয়েবসাইট অনুযায়ী অধ্যাপক কামকোটির বহু পেপার ‘নেচার পত্রিকা’তেও প্রকাশিত হয়েছে। সদ্য একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) যেখানে অধ্যাপক কামকোটিতে দেখা যাচ্ছে বলতে,' একজন সন্ন্যাসী ছিলেন... তাঁর প্রচণ্ড জ্বর ছিল, এবং লোকজন যখন ডাক্তার ডাকতে চাইছিলেন তখন সেই সন্ন্যাসী, যাঁর নাম আমি ভুলে গিয়েছি, তিনি (সংস্কৃতে) বললেন, 'গোমূত্র পিবামি' এবং সঙ্গে সঙ্গে একটি গোয়ালঘরে গিয়ে কিছুটা গোমূত্র পান। পান করার ১৫ মিনিটের মধ্যে, তাঁর জ্বর অদৃশ্য হয়ে যায়।' কামকোটি বলেন,' তাই... (এতে) অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল (বৈশিষ্ট্য) রয়েছে... হজম ও পেটের সমস্যায়, আইবিএসের জন্য... আরও অনেক অসুখের জন্য, এই 'গোমূত্র' বড় ওষুধ।'
( Raut on Bangladeshis: ‘মোদী, শাহকে বলুন সব বাংলাদেশিদের হঠাতে, শুরু করুন হাসিনাকে দিয়ে’, সইফ-হামলা নিয়ে BJPকে তোপ রাউতের)
( Bangladesh Weapons for BGB: ‘বিএসএফের কাছে আছে, বিজিবির কাছে নাই’! সাউন্ড গ্রেনেড কেনায় ছাড়পত্র ইউনুস সরকারের)
পিটিআই-র খবর অনুযায়ী, সদ্য ১৫ জানুয়ারি পোঙ্গল উৎসবের সময় একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে একথা বলেন আইআইটি মাদ্রাজের ডিরেক্টর। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক আঙিনায় চর্চা তুঙ্গে। কংগ্রেস নেতা কার্তি চিদাম্বরম সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন,'সবচেয়ে অপ্রীতিকর' বক্তব্য। ডিএমকের টিএস ইলানগোভান এক সংবাদপত্রকে দেওয়া বক্তব্যে বলেন,' তাকে অবশ্যই বদলি (আউট) করতে হবে এবং ভারতের কোনও সরকারি মেডিকেল কলেজে পোস্ট করতে হবে... তিনি আইআইটি-তে কী করবেন? ভারত সরকারের উচিৎ তাঁকে বের করে দেওয়া... তাঁকে কোনও একটি AIIMS-এর ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ করা।' এদিকে, গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক পারদ চড়তেই মুখ খোলেন বিজেপির আন্নামালাই। আন্নামালাই বলেন,' তিনি নিজের উপায়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করাকে বেছে নিয়েছিলেন। এটাকে ছাত্র ইউনিয়নের একটি মহল রাজনীতিকরণ করছে। প্রত্যেকেরই তাঁর ধর্ম পালনের অধিকার রয়েছে। আমি তাঁদের প্রতিবাদ বন্ধ করার আহ্বান জানাই, প্রতিষ্ঠানের পবিত্রতাকে সম্মান করুন। আইআইটি চেন্নাই শুধু চেন্নাই নয় গোটা দেশের গর্ব।'