মৃত্যু হল উন্নাও গণধর্ষণ কাণ্ডের নিগৃহীতার। গতরাত ১১টা ৪০ মিনিটে মৃত্যু হয় তাঁর। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের খবর। গতকাল সকালেই চিকিত্সকরা জানিয়েছিলেন, তরুণীর বাঁচার আশা ক্ষীণ। ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল তাঁকে। রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক বিভাগের প্রধান সলভ কুমার বলেন, "রাত ১১টা ১০ মিনিটে তরুণী হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু, ১১টা ৪০ মিনিটে মৃত্যু হয় তাঁর।" গত বছর ডিসেম্বরে ওই তরুণীর অভিযোগ জানিয়েছিল, দুই যুবক তাঁকে গণধর্ষণ করে। কিন্তু, পুলিশ মাসতিনেক ধরে অভিযোগ নেয়নি। পরে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ। দিনদশেক আগে জামিন পায় এক অভিযুক্ত। অন্যজনকে পুলিশের খাতায় পলাতক দেখানো হয়েছিল।এরপর মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে বৃহস্পতিবার সকাল রায়বরেলি যাওয়ার জন্য বৈশ্বর বিহার রেলস্টেশনে যাওয়ার পথে নিগৃহীতাতে বাধা দেয় দুই অভিযুক্ত যুবক-সহ পাঁচজন। প্রথমে ওই তরুণীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জ্বলন্ত অবস্থায় সাহায্য চেয়ে প্রায় এক কিলোমিটার দৌড়ে যান ওই তরুণী। সেই অবস্থায় তাঁকে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। তাঁকে উদ্ধার করে লখনউয়ের এক হাসপাতালে ভরতি করা হয়। হাসপাতালের সুপার জানান, নিগৃহীতার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। এরপর রাতেরাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে গ্রিন করিডরের মাধ্যমে তাঁকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গতরাতে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।