ইয়েমেনে হামলা চালাতে গিয়ে লোহিত সাগরে ডুবে গেল ৬৭ মিলিয়ন ডলারের সর্বাধুনিক মার্কিন যুদ্ধবিমান। জানা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান থেকে নৌবাহিনীর একটি এফ/এ-১৮ সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমান লোহিত সাগরে পড়ে ডুবে গিয়েছে। সোমবার এক বিবৃতিতে মার্কিন নৌবাহিনী এই কথা জানিয়েছে।মার্কিন যুদ্ধবিমানটির দাম ৬৭ মিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন-কংগ্রেসকে হাতিয়ার করে ভারতকে বদনাম পাকিস্তানের! রাহুল-খাড়গেকে তুলোধোনা বিজেপির
এই ঘটনায় একজন নাবিক সামান্য আহত হয়েছেন। মার্কিন নৌবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রণতরীর যুদ্ধবিমান রাখার জায়গায় এফ/এ-১৮ বিমানটি টেনে নেওয়া হচ্ছিল। সেই সময় ক্রু যুদ্ধবিমানটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ফলে যুদ্ধবিমান ও সেটিকে টেনে নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর দুটিই জলে পড়ে যায়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দুর্ঘটনার সময় এক নাবিক সামান্য আহত হন। তবে বিমানে থাকা কর্মীরা দ্রুত বেরিয়ে আসতে সক্ষম হওয়ায় বড় কোন ক্ষতি হয়নি। বিমান ও ট্রাক্টর, দুটিই সাগরে তলিয়ে গিয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত ডিসেম্বরে ইউএসএস ট্রুম্যানের আরেকটি এফ/এ-১৮ যুদ্ধবিমানকে ‘ভুলবশত’ ধ্বংস করেছিল লোহিত সাগরে থাকা মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস গেটিসবার্গ। ওই ঘটনায় দুই পাইটলই নিরাপদে যুদ্ধবিমান থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিলেন।এক মার্কিন আধিকারিক বলেন, ১৫ মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত সাতটি ড্রোন খোয়া গেছে। প্রতিটি ড্রোনের দাম প্রায় তিন কোটি ডলার।
আরও পড়ুন-কংগ্রেসকে হাতিয়ার করে ভারতকে বদনাম পাকিস্তানের! রাহুল-খাড়গেকে তুলোধোনা বিজেপির
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে গাজায় ইজরায়েল যুদ্ধ শুরু করতেই লোহিত সাগর উত্তপ্ত করে রেখেছে হুথিরা। কারণ এই লড়াইয়ে তারা হামাসের পাশে। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন-সহ বিভিন্ন দেশের পণ্যবাহী জাহাজে হামলা চালাচ্ছে সশস্ত্র সংগঠনটি। পালটা আক্রমণ শানাচ্ছে মার্কিন সেনাও। গত ১৮ এপ্রিল হাউথিদের তেল বন্দরে আকাশপথে হামলা চালায় পশ্চিম এশিয়ায় মোতায়েন মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড বা সেন্টকম। প্রাণ যায় ৭৪ জনের।অন্যদিকে হুথি বিদ্রোহীরা দাবি করেছেন, বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস ট্রুম্যানকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তারা। তাঁদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের মার্কিন অভিযানে অংশ নিতে রণতরীটি এখন লোহিত সাগরে অবস্থান করছে।