কালিয়াচকে নাবালিকার দেহ উদ্ধারের পর ১২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে কালিয়াচকের রামনগর থেকে বিশ্বজিৎ মণ্ডল নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। রাতে সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানান, বিয়ে করতে চাপ দেওয়াতেই নাবালিকাকে নির্জন জায়গায় শ্বাসরোধ করে খুন করেছে বলে মেনে নিয়েছে অভিযুক্ত।মঙ্গলবার সকালে মালদার কালিয়াচক থানা এলাকার আকুন্দবোড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উজিরপুরে সবজি খেতে এক নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে নাবালিকা এলাকার বাসিন্দা নয় বলে জানায় স্থানীয়রা। কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় যে ভাবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সেকথা মাথায় রেখে সাত তাড়াতাড়ি দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। তার পর শুরু হয় তদন্ত। বিকেলের মধ্যেই অভিযুক্তের নাগাল পায় পুলিশ।পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, মৃতদেহ সনাক্ত হওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। তাতে ২ জনকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়। এর পর মালদা, ইংরেজবাজার, গাজোল ও কালিয়াচক থানার পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে একটি টিম তৈরি করা হয়। তার নেতৃত্বে ছিলেন ২ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও এসডিপিও। এর পর ২ সন্দেহভাজনের খোঁজে শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। দুপুরের মধ্যে তাদের আটক করে জেরা শুরু করে পুলিশ। এদের মধ্যে বিশ্বজিৎ মণ্ডল অপরাধ কবুল করে।পুলিশ সুপার বলেন, অভিযুক্ত জানিয়েছে, ৯ দিন আগে তাঁর সঙ্গে নাবালিকার ফোনে পরিচয় হয়। সোমবার তারা দেখা করার পরিকল্পনা করে। সেই মতো নাবালিকা সন্ধ্যায় মহদিপুর যায়। সেখানে অভিযুক্ত আগে থেকেই হাজির ছিল। এর পর দুজনে সীমান্ত চৌকির কাছে ফাঁকা মাঠে যায়। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এর পর কিশোরী যুবককে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু যুবক আগে থেকেই বিবাহিত, তাঁর ২ সন্তান রয়েছে। ফলে বিয়ে করতে অস্বীকার করে সে। তখন কিশোরী জানায় বিয়ে না করলে তাঁর বাড়িতে হাজির হবে। কিন্তু যুবক কিশোরীকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য বোঝাতে থাকে। বার বার বললেও কথা না শোনায় রাত ১২টা নাগাদ ওড়না দিয়ে কিশোরীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে যুবক। তার পর দেহ মাঠেই ফেলে রেখে বাড়ি ফিরে যায়। ঘটনায় যুবকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা ছাড়াও পকসো আইনের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।