রেশন দুর্নীতির তদন্তে ফের একবার সক্রিয় হতে দেখা গেল ইডিকে। মঙ্গলবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনায় ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের একাধিক আত্মীয়ের বাড়ি ও চালকলে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, তদন্তে উঠে আসা বেশ কিছু তথ্য খতিয়ে দেখতে এদিন হানা দিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন - ‘অমুসলিমরা দুর্ভাগা’ মন্তব্যের জন্য বিধানসভার অন্দরে ফিরহাদকে বয়কটের ডাক দিল BJP
পড়তে থাকুন - ‘অমুসলিমরা দুর্ভাগা’ মন্তব্যের জন্য ফিরহাদকে আইনি চিঠি,ক্ষমা না চাইলেই হবে মামলা
মঙ্গলবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ বসিরহাটের সংগ্রামপুরে আবদুল বারিক বিশ্বাসের বাড়িতে যান ইডির আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রচুর জওয়ান। গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলেন তাঁরা। এর পর শুরু হয় তল্লাশি। ছিলেন ইডির মহিলা আধিকারিকরাও। কয়লা পাচারে সিআইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন আবদুল বারিক বিশ্বাস। সীমান্তে অন্যতম কুখ্যাত সোনা পাচারকারী তিনি। এবার তার নাম জড়াল রেশন কেলেঙ্কারিতে। এদিন আবদুল বারিক বিশ্বাসের চালকলেও হানা দেন ইডির আধিকারিকরা। সেখানেও তল্লাশি চলছে।
এছাড়া নিউটাউনের একটি আবাসনেও তল্লাশি চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। সেখানে থাকেন বাকিবুরের আত্মীয় আবদুল বারিকের ও তাঁর এক সহযোগী। রেশন দুর্নীতির টাকা এদের মাধ্যমেই বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ হয়েছে বলে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে।
এছাড়া বেড়াচাঁপার কাউকেপাড়ায় একটি চালকলে হানা দিয়েছেন গোয়েন্দারা। এই চালকলের সঙ্গেও রেশন দুর্নীতির যোগ পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন - নীতি আয়োগের বৈঠক-রঙ্গ নিয়ে বিধানসভা উত্তাল, ওয়াক আউট BJPর, শংকর বললেন ফিরহাদের..
রেশন দুর্নীতিতে প্রথম গ্রেফতার হন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। তাঁকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত অক্টোবরে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করে ইডি। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, বিভিন্ন সহযোগীদের মাধ্যমে রেশন দুর্নীতি করেছেন বাকিবুর। জেরায় সেকথা স্বীকারও করেছেন তিনি। তাদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতেই এদিনের অভিযান।