‘রুদ্রাক্ষ’ শব্দটির অর্থই হল রুদ্রের (শিবের) অশ্রু। পুরাণ অনুযায়ী, একবার ভগবান শিব গভীর ধ্যানে মগ্ন ছিলেন। যখন তিনি পৃথিবীর দুঃখ, পাপ ও কষ্ট উপলব্ধি করেন, তাঁর চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। সেই অশ্রুই মাটিতে পড়ে রুদ্রাক্ষ গাছে পরিণত হয় এবং তার ফল থেকেই রুদ্রাক্ষ বীজ পাওয়া যায়। এই কারণেই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে শিবের আশীর্বাদ পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়। বিশেষ করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও কেরিয়ারে অগ্রগতির জন্য বহু মানুষ আজ রুদ্রাক্ষ ব্রেসলেট বা মালা ব্যবহার করে থাকেন। তবে কেবল রুদ্রাক্ষ পরলেই হবে না, তা সঠিক নিয়মে, সঠিক সময়ে পরলে তবেই মিলবে পূর্ণ উপকারিতা।
কখন এবং কীভাবে পরবেন?
- রুদ্রাক্ষ ব্রেসলেট সাধারণত সোমবার ভোরবেলা বা সূর্যোদয়ের পর শুদ্ধভাবে স্নান করে পরা উচিত। কারণ সোমবার হল শিবের দিন। পরার আগে ব্রেসলেটটিকে গঙ্গাজল বা পরিষ্কার জলে ধুয়ে, ধূপ ও প্রদীপ জ্বালিয়ে ‘ওঁ নমঃ শিবায়’ মন্ত্র উচ্চারণ করে পরা ভালো।
- রুদ্রাক্ষ সর্বদা ডান হাতে পরতে পারেন, তবে কেউ কেউ বাম হাতেও পরেন – এতে সমস্যা নেই, তবে বিশ্বাস ও ভক্তি থাকা জরুরি।
- আমিষ খাওয়া এবং মদ্যপানের সময় রুদ্রাক্ষ খোলা উচিত।
- শ্মশানে বা শেষকৃত্যের কাজে কখনো রুদ্রাক্ষ পরে যাবেন না।
- ঘুমোতে যাওয়ার আগে রুদ্রাক্ষ খুলে রাখবেন।
অর্থ ও কেরিয়ারে রুদ্রাক্ষের ভূমিকা
১. আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে: রুদ্রাক্ষ ব্রেসলেট পরলে ব্যক্তির মধ্যে আত্মবিশ্বাসের উন্নতি হয়, যা যে কোনও পেশাগত ক্ষেত্রে সফলতার জন্য খুব জরুরি।
২. চিন্তা ও মানসিক চাপ হ্রাস করে: এর মাধ্যমে মানসিক স্থিরতা আসে, ফলে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় মন শান্ত থাকে।
৩. আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলে: যারা নিয়মিত রুদ্রাক্ষ পরে থাকেন, তাদের প্রতি অন্যদের আকর্ষণ বাড়ে, যা চাকরি বা ব্যবসায় সহায়ক।
৪. আর্থিক স্থিতিশীলতা আনতে সাহায্য করে: জ্যোতিষীদের মতে রুদ্রাক্ষ ধনসম্পত্তির প্রবাহ বাড়াতে সহায়তা করে।