আগামী ৩০ এপ্রিল - অক্ষয় তৃতীয়ার দিন - দিঘায় নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করা হবে। সেই অনুষ্ঠানে এবং মন্দির খোলার পর জগন্নাথ মন্দিরে ভালোই ভিড় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেই ভিড় সামাল দিতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, পাশাপাশি যান চলাচলও যাতে মসৃণভাবে হয় এবং পর্যটক থেকে শুরু করে দর্শনার্থী, কিংবা স্থানীয় বাসিন্দা, কারও যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। ঠিক করা হয়েছে, জগন্নাথ মন্দিরের এই ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য ১০০ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিয়োগ কর হবে।
হিসাব মতো দিঘার জগন্নাথ ধাম উদ্বোধনের আগে হাতে আর মাত্র সপ্তাহ খানেক সময় রয়েছে। আগেই মন্দির উদ্বোধন নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আজ (বুধবার - ২৩ এপ্রিল, ২০২৫) আবারও একবার এই একই বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি। নবান্নে আয়োজিত হয় রাজ্য মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। সেই বৈঠকেই দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে ভিড় সামলানোর জন্য ১০০ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
সরকার পক্ষের আশা, এর ফলে আমজনতাকে আরও ভালো পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে। প্রসঙ্গত, দিঘার এই জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে ওডিশার পুরীর ঐতিহ্যশালী জগন্নাথ মন্দিরের আদলে।
সূত্রের দাবি, দিঘা এমনিতেই পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে যথেষ্ট জনপ্রিয়। এবার সেখানে জগন্নাথ মন্দিরকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় পর্যটনের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে। পাশাপাশি, এলাকার সাংস্কৃতিক গুরুত্বও বাড়ানো হচ্ছে। এই মন্দির নির্মাণ করেছে রাজ্য সরকারি সংস্থা হিডকো। আগামী দিনে এই মন্দির পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হবে ইসকন কর্তৃপক্ষের উপর। তাই, গত সপ্তাহেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
নবান্ন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের সময় বা তার আগে কিংবা পরে, যাতে কোথাও কোনও সমস্যা সৃষ্টি না হয়, তা নিশ্চিত করতে সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এর জন্য রাজ্য সরকারের একাধিক দফতর একত্রিতভাবে পরস্পরের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে কাজ করছে।
নবান্ন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন এবং বিদ্যমান ১১৪টি শূন্যপদে নিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তার মধ্য়ে ১২টি অতিরিক্ত প্যারামেডিক্যাল পদ সৃষ্টি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে হুগলি জেলার সিঙ্গুর ট্রমা কেয়ার সেন্টারের জন্য। এর ফলে অমজনতার পরিষেবা পেতে আরও সুবিধা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, রাজ্য পরিবহণ বিভাগের জন্যও দু'টি নতুন আইন আধিকারিক পদ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।