পিন্টু বড়ুয়া কোচ। কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা কেএলওর প্রচার সচিব ছিলেন। গত ৩০শে অগস্ট তিনিই পৃথক রাজ্যের দাবিকে সামনে রেখে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন। ভারতের ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি দাবি তুলে ফের আন্দোলনে ঝাঁপানোর ব্যাপারে আহ্বান করেছিলেন তিনি। আর তার দুমাসের মধ্যেই কার্যত রাস্তা বদলে পুলিশের কাছ আত্মসমর্পণ করলেন তিনি। আদতে তাঁর নাম সুদীপ সরকার। তবে সংগঠনের প্যাডে তিনি পিন্টু বড়ুয়া কোচ নামেই স্বাক্ষর করতেন। সোমবার দক্ষিণদিনাজপুরে আত্মসমর্পনণ করেন তিনি। একেবারে সরকারের প্রতি আস্থা দেখিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন ওই কেএও সদস্য। পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবি ও ভারতভুক্তি চুক্তিকে লাগু করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে কেএলও। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন বলেই পরিচিত কেএলও। সেই সংগঠনেরই সদস্য ছিলেন পিন্টু। সংগঠনের সোশ্য়াল মিডিয়া সেলওটাও সামলাতেন তিনি। সোমবার সকালে বালুরঘাট পুলিশ সুপার অফিসে আত্মসমর্পণ করেন। এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই চারজন প্রাক্তন কেএলও জঙ্গির চাকরির ব্যবস্থা করেছে সরকার। মূলত জীবনের মূল স্রোতে, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য তাদেরকে আহ্বান করেছে সরকার। তাদের পুনর্বাসনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। কার্যত সরকারের সেই আশ্বাসেই আত্মসমর্পণ সুদীপের।জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, ২০০৫ সালে ৩২ বছর বয়সী ওই যুবক কেএলওতে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জের বাসিন্দা। প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন বাংলাদেশে। ভুটান, বাংলাদেশে, মায়ানমারেও গিয়েছেন সংগঠনের কাজে। কেএলও প্রধান জীবন সিংয়ের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখতেন তিনি।২০১২ সালে দার্জিলিং জেলা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর তিনি ফের সংগঠনে কাজ শুরু করেন। কেএলওর সেই প্রথম সারির নেতার আত্মসমর্পণের জেরে বড়সর ধাক্কা খেতে পারে সংগঠনে, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।