চলতি রঞ্জি ট্রফিতে দুঃসময় কাটছে না অজিঙ্কা রাহানের। গ্রুপ লিগের ৫টি ম্যাচে মাঠে নেমে একটি মাত্র হাফ-সেঞ্চুরি করেন মুম্বই দলনায়ক। এবার গুরুত্বপূর্ণ নক-আউট ম্যাচেও চূড়ান্ত ব্যর্থতাই সঙ্গী হয় তাঁর। বরোদার বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৩ রান করে আউট হন রাহানে। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি খাতাই খুলতে পারলেন না। এবারের রঞ্জি ট্রফির ৬ ম্যাচের ১০টি ইনিংসে অজিঙ্কার ব্যক্তিগত সংগ্রহ যথাক্রমে ০, ০, ১৬, ৮, ৯, ১, অপরাজিত ৫৬, ২২, ৩ ও ০ রান।
ক্যাপ্টেন রান না পেলেও মুম্বই অবশ্য ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতেই রাখে। চতুর্থ দিনের শেষে তারা ৪১৫ রানে এগিয়ে থাকে বরোদার থেকে। অর্থাৎ, শেষ দিনে ধ্বংসাত্মক ব্যাটিং না করলে বরোদার পক্ষে মুম্বইয়ের ঝুলিয়ে দেওয়া টার্গেটে পৌঁছে জয় তুলে নেওয়া মুশকিল। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মুম্বই প্রথম ইনিংসের নিরিখে লিড নেওয়ায় ম্যাচ ড্র হলে সেমিফাইনালে উঠবেন রাহানেরাই।
ম্য়াচে মুম্বই তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ৩৮৪ রান। ডাবল সেঞ্চুরি করেন মুশির খান। তিনি ২০৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া ৫৭ রান করেন হার্দিক তামোরে। পৃথ্বী শ ৩৩ রান করে আউট হন। বরোদার ভার্গব ভট্ট একাই ৭টি উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বরোদা তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ৩৪৮ রান। অর্থাৎ প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৩৬ রানের লিড পেয়ে যায় মুম্বই। বিষ্ণু সোলাঙ্কি ১৩৬ ও শাশ্বত রাওয়াত ১২৪ রান করেন। মুম্বইয়ের শামস মুলানি ৪টি উইকেট নেন।
আরও পড়ুন:- ৩৩টি চার ও ১২টি ছক্কায় মারকাটারি ত্রিশতরান, কেন CSK ৮.৪ কোটিতে কিনেছে আনকোরা এই ব্যাটারকে, বোঝা গেল এতদিনে
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মুম্বই চতুর্থ দিনের শেষে ৯ উইকেটে ৩৭৯ রান তোলে। ওপেন করতে নেমে দুরন্ত শতরান করেন হার্দিক তামোরে। তিনি ১০টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৩৩ বলে ১১৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
ওপেন ছেড়ে ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন পৃথ্বী শ। মিডল অর্ডারে ব্যাট করে ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন তিনি। পৃথ্বী ১০টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৯৩ বলে ৮৭ রান করে আউট হন। অর্থাৎ, নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে আসেন তিনি।
আরও পড়ুন:- নেট রান-রেটে এগিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে ওয়াইড বল, বিপক্ষকে জিতিয়ে দিয়ে পরের রাউন্ডে উঠল মালয়েশিয়া
মুশির দ্বিতীয় ইনিংসে ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৫ বলে ৩৩ রান করেন। শামস মুলানি ৮টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১০৩ বলে ৫৪ রান করে মাঠ ছাড়েন। তনুষ কোটিয়ান ৩২ ও তুষার দেশপান্ডে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন চতুর্থ দিনে। ভার্গব ভট্ট প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ৭টি উইকেট নিয়েছে। অর্থাৎ, ম্যাচের দুই ইনিংস মিলিয়ে এখনই ১৪টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। বরোদা ম্যাচ না জিতলে নিশ্চিতভাবেই ট্র্যাজিক হিরো হবেন এই বাঁ-হাতি স্পিনার।