মিয়ম মতো কেউ আবেদন না করলে আম্পায়ার আউট দিতে পারেন না। বুধবার উপ্পলে ইশান কিষানকে আউট ঘোষণা করার আগে ইতস্তত বোধ করছিলেন ফিল্ড আম্পায়ার। তিনি কিছুটা আঙুল তুলেও ফের নামিয়ে নেবেন কিনা ভাবছিলেন। আসলে না উইকেটকিপার রিকেলটন, না বোলার দীপক চাহার, ইশানের কট-বিহাইন্ডের জন্য কেউই আবেদন করেননি। মুম্বইয়ের কোনও ফিল্ডারকে আবেদন করতে দেখা যায়নি।
পরে আম্পায়ার অর্ধেক আঙুল তুলে ফেলেছেন দেখে একবার হালকা আবেদন করেন চাহার। আম্পায়ার ঠিক তার পরেই আঙুল তুলে জানিয়ে দেন যে, ইশান কিষান এক্ষেত্রে কট-বিহাইন্ড আউট হয়েছেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ইশান এক্ষেত্রে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করেননি। তিনি ক্রিজ ছেড়ে হাঁটা লাগান সাজঘরের দিকে। মুম্বইয়ের ক্রিকেটাররা এমন সৎ পদক্ষেপের জন্য ইশানের পিঠ চাপড়েও দেন। তবে পরে বোঝা যায় যে, সততা দেখাতে গিয়ে বোকা কালিদাস হয়েছেন ইশান। কেননা সানরাইজার্স তারকা সাজঘরে ফেরার পরে আল্ট্রা-এজে দেখা যায় যে, বল ইশানের ব্যাটেই লাগেনি। অর্থাৎ, ইশান কিষান এক্ষেত্রে আউট না হয়েও পুরনো দলকে নিজের উইকেট উপহার দিয়ে আসেন।
বুধবার উপ্পলে আইপিএল ২০২৫-এর ৪১তম লিগ ম্যাচে টস জিতে হায়দরাবাদকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হন ট্র্যাভিস হেড। ৪ বল খেলে খাতা খোলার আগেই নমন ধীরের হাতে ধরা পড়েন হেড। ট্র্যাভিস সাজঘরে ফিরলে ব্যাট হাতে ক্রিজে নামেন ইশান কিষান। তবে তিনিও বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি।
২.১ ওভারে দীপক চাহারের লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে ফ্লিক করার চেষ্টা করেন ইশান। বল ব্যাটের নাগাল এড়িয়ে উইকেটকিপার রিকেলটনের দস্তানায় জমা পড়ে। এক্ষেত্রে আউট না হওয়া সত্ত্বেও সাজঘরে ফেরেন ইশান। তিনি ৪ বলে মাত্র ১ রান করেন।
ইশান চলতি আইপিএলের একেবারে প্রথম ম্যাচে বিধ্বংসী শতরান করেন। তিনি রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে ১০৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। তবে তার পরে টানা ৭ ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন ইশান।
আরও পড়ুন:- জলে গেল মেহেদির ‘১০ উইকেট’, জিম্বাবোয়ের কাছে হেরে পচা শামুকে পা কাটল বাংলাদেশের
চলতি আইপিএলে ইশান কিষানের ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্স
১. বনাম রাজস্থান রয়্যালস- অপরাজিত ১০৬ রান।
২. বনাম লখনউ সুপার জায়ান্টস- ০ রান।