আরেকটু হলে IPL 2025-র ম্যাচ প্রায় হারিয়েই দিচ্ছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ক্রিকেটার সুয়শ শর্মা। বল হাতে এদিন তিনি একটিও উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ৩১ রান দেন, তাতেই ম্যাচে জাঁকিয়ে বসে বেঙ্গালুরু। তবে তার এক মারাত্মক ভুলই বিপদ ডেকে আনতে পারত বেঙ্গালুরুর দলটির। এদিন আরসিবি এবারের আইপিএলের প্রথম হোম ম্যাচে জয়ের দেখা পায় রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে।
নবম ওভারের শেষ বলে ক্রিকেটার নিয়মভঙ্গ করে ফেলেছিলেন সুয়শ। আসলে বল ব্যাটসম্যান কভারের দিকে খেলার পর সেই বল ফিল্ডার ছুঁড়ে দেন উইকেটের দিকে, কিন্তু বলে রান না আসায় ২১ বছর বয়সী আরসিবির সুয়াস বলটি ধরতে গিয়ে নিজের টুপিটি ব্যবহার করেন। বয়সে অনেকটা ছোট হওয়ার তিনি এর ফল বুঝতে পারেননি। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী নিজের শরীর দিয়েই বল ধরতে হয়। কিন্তু তিনি টুপি দিয়ে বল আটকানোয় প্রতিপক্ষ দল ৫ রান পেনাল্টি পেতে পারত।
পরের ওভারে ক্রূণাল পান্ডিয়া বোলিং করতে এলে তাকে থামিয়ে দেন আম্পায়াররা। এরপর রিভিউ করে থার্ড আম্পায়ার দেখেন যে সুয়শ যখন বলটি ধরেছিলেন ততক্ষণে খেলা থেমে গেছিল, অর্থাৎ এক দিকের ফিল্ড আম্পায়ার ওভারের সমাপ্তি ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। সেই কারণে পেনাল্টি হিসেবে প্রতিপক্ষ দলকে ৫ পয়েন্ট উপহার দেওয়া হল না।
আইপিএলের প্লেয়িং কন্ডিশনের ২৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী ফিল্ডারের শরীরের কোনও অংশ দিয়ে বল না থামানো হলে, সেই ফিল্ডিংকে ইচ্ছাকৃতভাবে অবৈধ ফিল্ডিং হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সূয়শও সেই একই ভুলই করে ফেলেছিলেন। ২৮.২.১.১ ধারায় বলা রয়েছে শরীর বাদে কোনো কিছু দিয়ে বল আটকানো। ২৮.২.১.২তে বলা রয়েছে কাপড় দিয়ে বল ধরা এবং ২৮.২.১.৩ ধারায় বলা রয়েছে কাপড় বা অন্য কোনও বস্তু ব্যবহার করে ফিল্ডিং করা যা বলকে স্পর্ষ করে। ফলে স্পষ্টভাবেই কিন্তু আরসিবির ক্রিকেটার অবৈধ ফিল্ডিং করেছিলেন।
পুরো বিষয়টি আম্পায়ারের থেকে জানতে পেরে অত্যন্ত বিরক্ত দেখায় বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক রজত পাতিদারকে। কারন ম্যাচে আরসিবি ১১ রানে রুদ্ধশ্বাস জয় পায়। সেই সময় ৫ রান যদি রাজস্থান পেয়ে যেত তাহলে খেলার ফল অন্যরকম হতেই পারত। এদিকে আম্পায়ারদের সেই বিরতি কাজে লাগে আরসিবির। কারণ পরের ওভারেই ক্রুনালের বলে রিয়ান পরাগ আউট হয়ে যান, অর্থাৎ খেলার বিঘ্ন ঘটায় ফোকাস নষ্ট হয়।