বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীরের মধ্যে ঝামেলা থামানোর জন্যই তাঁকে মানুষ বেশি মনে রেখেছেন। মজা করে এমনই বললেন দিল্লি তথা কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) প্রাক্তন ক্রিকেটার রজত ভাটিয়া। সেই ২০১৩ সালের ঘটনার কথা মনে করিয়ে ভাটিয়া বলেন, ‘লোকে আমায় বেশি চেনেন, কারণ আমি দু'জনের মধ্যে ঝামেলা থামিয়ে দিয়েছিলাম। পারফরম্যান্সের থেকেও বেশি ওই বিষয়টার কারণে ওঁরা (মানুষ) আমায় মনে রেখেছেন। এখন একজনের নামে (দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে) স্ট্যান্ড আছে। অপরজনের নামে (অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে) প্যাভিলিয়ন আছে (হাসি)।’
কেকেআর ও আরসিবির ম্যাচে সেই ঝামেলা
আর ২০১৩ সালের যে ঘটনার প্রেক্ষিতে ভাটিয়া সেই মন্তব্য করেছেন, তা ঘটেছিল আইপিএলে। কেকেআর এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) ম্যাচের সময় একে অপরের দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন গম্ভীর এবং বিরাট। কথার যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেইসময় দু'জনের মধ্যে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ভাটিয়া-সহ কয়েকজন কেকেআর খেলোয়াড়। তাঁরা দু'জনকে আলাদা করে দিয়েছিলেন। সেই গম্ভীর এবং বিরাট এখন ভারতীয় দলে একসঙ্গে আছেন। গম্ভীর হেড কোচ। আর বিরাট তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র।
'প্রতিটি দলের মধ্যেই ছোটখাটো ঝামেলা হয়'
সেই রেশ ধরেই কেকেআরের প্রাক্তন ক্রিকেটার ভাটিয়া জানান, মাঠের মধ্যে এরকম উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। ম্যাচের মধ্যে এরকম হতেই পারে। তাঁর কথায়, ‘প্রতিটি দলের মধ্যেই ছোটখাটো ঝামেলা হয়ে থাকে। এমনকী দিল্লির রঞ্জি দলেও সেরকম (ছোটখাটো) ঝামেলা হত। কিন্তু সেটা নিয়ে পড়ে থাকার মানে হয় না। আজ একজন (ভারতীয় দলের) হেড কোচ। অপরজন দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।’
আরও পড়ুন: Ranji Trophy: ৯৯-এ আউট পূজারা, নার্ভাস নাইন্টির শিকার রাহানে, রঞ্জিতে শতরান হাতছাড়া দুই তারকার
আর সেই গম্ভীরের আমলেই বহুদিন পরে রঞ্জি ট্রফিতে খেলতে নেমেছেন বিরাট। ২০১২ সালে শেষবার রঞ্জিতে খেলেছিলেন। তারপর ফের মাঠে নামলেন। তবে সেই প্রত্যাবর্তন একেবারেই ভালো হয়নি। ১৫ বলে ছয় রানে আউট হয়ে যান ভারতীয় তারকা। বল যেখানে নড়ছিল, সেখানে আগ্রাসী শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান। আর তিনি আউট হওয়ার পরই দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে কিছুটা খালি হয়ে গিয়েছে।
এইজন্যই ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা উচিত, বিরাটের আউট নিয়ে ইরফান
বিরাটের সেই ব্যর্থতা নিয়ে ভারতের প্রাক্তন তারকা ইরফান পাঠান বলেন, ‘ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেট, বিশেষত লাল বলের ক্রিকেটে আলাদা ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। শীতকালে এই বিষয়টা হয়। পিচে আরও বেশি প্রাণ থাকে। যে বোলারদের বিরুদ্ধে আপনি কোনওদিন খেলেননি, তাঁরা রীতিমতো চমকে দিতে পারেন।'
বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা করে ইরফান বলেন, 'উত্তর ভারতে পিচ কেমন আচরণ করবে, সেটা নির্ভর করে কালো মাটির উপরে। একই বোলার হয়তো ভারতের পশ্চিম প্রান্তে সম্পূর্ণ ভিন্ন উপায়ে আপনাকে পরীক্ষার মুখে ফেলতে পারেন। আপনি রান করতে পারেন বা আউট হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু সেটার মধ্যে অনেক কিছু থাকে। ঠিক এই কারণেই আমি বলে আসছি যে ভারতীয় দলের বর্তমান খেলোয়াড়দের যতটা বেশি সম্ভব ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা উচিত।’