৮০ বা ৯০ দশকের যে ছেলে মেয়েরা যৌথ পরিবারে কিংবা আরও ভালো করে বললে মধ্যবিত্ত যৌথ পরিবারে বড় হয়েছে তাঁদের কাছে ছোটবেলার অনেকটা সময় জুড়ে রয়েছে পাড়া বা বাড়ির কোনও অনুষ্ঠানে নাচ, গান করা, নাটক করা, তার মহড়া চলা, দিদিমা ঠাকুমার গল্প শোনা, পড়ার সময়টুকু বাদে খেলে বেড়ানো, ইত্যাদি প্রভৃতি। গ্রামীণ এলাকায় তখনও বাড়ির উঠোনে বা গ্রামের মাঠে পর্দা টাঙিয়ে সিনেমা দেখার চলও ছিল। আর এই প্রতিটি জিনিস এক সঙ্গে যেন রাস ছবির ঝলক ফুটে উঠল। একরাশ নস্টালজিয়া উসকে দিল এই ছবির ঝলক। যেন এক দমকা দক্ষিণা বাতাস।
আরও পড়ুন: 'ধর্মের নামে বিষ ছড়ানো হচ্ছে', নাম না করে বিজেপিকে বিঁধলেন দেব? জগন্নাথদেবের কাছে কী চাইলেন?
কী নিয়ে রাসের গল্প?
টিজারের শুরুতে নেপথ্য কণ্ঠে কাউকে বলতে শোনা যাচ্ছে, 'গ্রাম বললেই একটা অন্ধকার জায়গা মনে পড়ে। যা খুশি হতে পারে তোমার সঙ্গে।' এরপরই বিক্রম জানান তাঁর জন্ম মানিকপুরে যেটা কিনা একটা গ্রাম। এরপর পর্দায় একে একে ভেসে ওঠে ছায়া নৃত্য, পর্দা টাঙিয়ে সিনেমা দেখা, নৌকা চড়ে ঘুরে বেড়ানো, ইত্যাদি। সঙ্গে অনসূয়া মজুমদারের চরিত্রকে বলতে এবং বোঝাতে শোনা যায় সমস্ত পোকা মাকড়ের মতো মানুষ কেন কেবল টিকে থাকবে? মানুষ বাঁচবে।
কেবল নস্টালজিয়া নয়, আছে প্রেমের ছোঁয়া। প্রেমকে ছেড়ে চলে যাওয়া, হয়তো বা তার কাছেই আবার ফিরে আসার ইঙ্গিত। এক মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের এই ভিডিয়ো দেখে নস্টালজিয়া উসকে যাওয়ার পাশাপাশি একটা মন ভালো করা বোধ কাজ করবে।
আরও পড়ুন: 'সারা শরীরে ওই টাকা...', কাজ টিকিয়ে রাখতে অঞ্জনাকে কুপ্রস্তাব! কাদের থেকে পেয়েছিলেন 'রাত কাটানো'র অফার?
রাস ছবিটি প্রসঙ্গে
রাস ছবিটির পরিচালনা করেছেন তথাগত মুখোপাধ্যায়। অভিনয়ে আছেন দেবলীনা কুমার, বিক্রম চট্টোপাধ্যায়, অনসূয়া মজুমদার, অনির্বাণ চক্রবর্তী, প্রমুখ। ছবির মতো এন্টারটেইনমেন্ট এই ছবির প্রযোজনা করেছেন। সাত্যকি বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন রাস ছবির। আগামী ৬ জুন মুক্তি পাবে এই ছবিটি।