রোহিত শর্মা জাতীয় দলের আঙিনায় ঘোরাফের করছেন ২০০৭ থেকে। কেরিয়ারের শুরুতেই টিম ইন্ডিয়ার হয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছেন হিটম্যান। তবে আক্ষেপ একটাই যে, ২০১১ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য হওয়া হয়নি।
যদিও সেই সুযোগ ছিল রোহিতের সামনে। জাতীয় নির্বাচকরা তাঁকে স্কোয়াডে ঢোকাতে চেয়েছিলেন। তবে কার জন্য রোহিত শেষমেশ ছিটকে যান বিশ্বকাপের স্কোয়াড থেকে, জানা গেল এতদিনে। তৎকালীন জাতীয় নির্বাচক রাজা বেঙ্কট নিজেই জানালেন, কেন শেষ মুহূর্তে বাদ দেওয়া হয় রোহিতকে।
আসলে ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিং ধোনি চাননি বলেই রোহিতের ২০১১ বিশ্বকাপে মাঠে নামা হয়নি। নির্বাচকরা স্কোয়াডের ১৫তম সদস্য হিসেবে রোহিতকে দলে চেয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে রাজি ছিলেন কোচ গ্যারি কার্স্টেনও। তবে ধোনি বেঁকে বসায় শেষমেশ রণে ভঙ্গ দিতে হয় নির্বাচকদের।
ধোনি দলে চেয়েছিলেন পীযূষ চাওলাকে। সেকারণেই রোহিতের বদলে স্কোয়াডের ১৫তম সদস্য হিসেবে দলে নেওয়া হয় চাওলাকে। সুতরাং, একথা বলা ভুল হবে না যে, ধোনি চাননি বলেই ওয়ান ডে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য হওয়া হয়নি রোহিতের। অন্যদিকে এটা বলাও অন্যায় হবে না যে, ধোনির জন্য বিশ্বকাপজীয় ভারতীয় দলের সদস্যে পরিণত হন পীযূষ চাওলা।
RevSportz-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজা বেঙ্কট বলেন, ‘যখন আমরা দল গড়ে নিতে বসি, ১ থেকে ১৪ নম্বর ক্রিকেটারকে নিয়ে সবাই একমত ছিল। স্কোয়াডের ১৫তম সদস্য হিসেবে আমরা রোহিত শর্মাকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। গ্যারি কার্স্টেনও একমত হয় যে, রোহিতই যথাযথ হবে। তবে ক্যাপ্টেন অন্য কাউকে চাইছিল। ও রোহিতের বদলে পীযূষ চাওলাকে দলে নিতে চায়। গ্যারি কার্স্টেন তৎক্ষণাৎ ডিগবাজি খায় এবং বলে যে, চাওলাই বেটার চয়েজ। সুতরাং, রোহিত শর্মাকে বাদ পড়তে হয়।’
আরও পড়ুন:- Maharaja Trophy: হার্দিকের রাজ মহারাজা ট্রফিতে, ‘১২ ওভারেই’ প্রতিপক্ষকে ওড়াল গুলবার্গা
পরবর্তী সময়ে রোহিত বিশ্বকাপ দলে সুযোগ না পাওয়া নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। রাজা বেঙ্কট জানান যে, নির্বাচকদের কেউই পরবর্তী সময়ে রোহিতের সঙ্গে এই প্রসঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাননি। তিনি বলেন, ‘আমরা ওর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাইনি। তবে ওকে দলে ঢোকাতে না পেরে আমরাও হতাশ ছিলাম। স্কোয়াডের প্রথম ১৪ জনকে আমরা বেছে নিয়েছিলাম। তাতে কারও অপত্তি ছিল না। ১৫ নম্বর সদস্যের ক্ষেত্রে কোচ-ক্যাপ্টেন নিজেদের পছন্দ মতো ক্রিকেটারকে চাইছে দেখে আমরাও ভাবি যে, ওদের মতো করে ছেড়ে দেওয়া উচিত।’