দুদিন আগেই রটে গিয়েছিল বিধায়ক-অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক নাকি গুরুতর অসুস্থ। আর তাতেই কিছুটা উদ্বিগ্ন ছিলেন অনুরাগীরা। তবে স্বামীর স্বাস্থ্যের আপডেট দেন অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ। বলেন, কাঞ্চন গুরুতর অসুস্থ নন, তবে এটা ঠিক যে তিনি অসুস্থ হয়েছিলেন, এখন তিনি ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।
এদিকে অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়লেও কাঞ্চন কিন্তু দিব্যি তাঁর অভিনয় জীবন ও বিধায়ক হিসাবে দায়িত্ব দুটোই সামলাচ্ছেন। ২৬ এপ্রিল, শনিবারও কোন্নগর কার্যালয় থেকে ছবি পোস্ট করেছিলেন তিনি। এরপর আজ অর্থাৎ ২৭ এপ্রিল কোন্নগরে শকুন্তলা কালী মন্দির থেকে ছবি পোস্ট করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে শকুন্তলা কালী পুজো উপলক্ষে সেজে উঠেছে হুগলির মফঃস্বল শহর কোন্নগর। সেই মন্দির দর্শনের গিয়েছিলেন অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। মন্দিরের সামনে হাতজোড় করে প্রণাম করতে দেখা যায় তাঁকে।
প্রসঙ্গত, কোন্নগরের এই শকুন্তলা কালীপুজোর ইতিহাস দীর্ঘ ১৩৬ বছরের পুরনো। কোন্নগরের নবগ্রাম এলাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই কালীপুজো। স্থানীয়রা পুজো শুরুর ইতিহাস নিয়ে বলে থাকেন, সেটা ছিল ১৮৩৬ সাল। তখন কোন্নগরের নবগ্রাম এলাকা ছিল জঙ্গলে ঢাকা। আর এলাকায় প্রায়ই ডাকাতরা হানা দিত। প্রতিবছর নাকি বৈশাখ মাসের কৃষ্ণা তৃতীয়া বা তার পরের শনিবার রাতে সেই ডাকাতরা মা কালীকে পুজো করে ডাকাতি করতে বের হত। সেসময় এক অশ্বত্থ গাছের নিচে ছিল মায়ের বেদী, সেখানেই পড়ে থাকতো রক্তমাখা হাঁড়িকাঠ। আর যে গাছের তলায় কালী পুজো হত, সেই গাছের মধ্যে থাকত অগণিত শকুন, আর তখন থেকই এই কালীমায়ের য় শকুন্তলা কালী, যা পড়ে শকুন্তলা রক্ষাকালী মা নামেও লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে।
আর আজও কোন্ননগরে এই শকুন্তলা রক্ষাকালীর পুজো হয়ে আসছে। এবছর ২৬ এপ্রিল অর্থাৎ বাংলার ১২ (শনিবার) বৈশাখ ছিল এই পুজো। সেদিনই সেই মন্দির দর্শনে পৌঁছে গিয়েছিলেন কাঞ্চন মল্লিক। সেখান থেকেই ছবিগুলি নিজের ফেসবুকের পাতায় পোস্ট করেছেন অভিনেতা।