সিনেমার শুটিংয়ের সময় চোট- আঘাত লাগা, এতো যেকোনও অভিনেতার কাছে খুবই সাধারণ ঘটনা। অভিনেতা পরেশ রাওয়াল একবার 'ঘাতক' ছবির শুটিং চলাকালীন হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন।
ছবিতে মাছ বাজারের এক দৃশ্যের শুটিংয়ে পরেশ রাওয়াল রাকেশ পাণ্ডেকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেসময়ই চপ্পল পরেছিলেন পরেশ। আর তাতেই পা পিছলে পড়ে যান অভিনেতা। পড়ে গিয়ে হাঁটুতে চোট পান তিনি। কিন্তু তারপর যখন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তখন অজয় দেবগনের বাবা 'ফাইট মাস্টার' বীরু দেবগন তাঁকে নাকি বিশেষ পরামর্শ দেন। যা ছিল বড়ই অদ্ভুত! তবে পরেশ রাওয়ালের দাবি, তাঁর সেই পরামর্শ মেনে চলার কারণেই তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।
ঠিক কী বলেছেন পরেশ রাওয়াল?
'দ্য লালানটপ'-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পরেশ রাওয়াল বলেন, 'বীরু দেবগন সাহেব এসেছিলেন। আমি তখন নানাবতীতে (হাসপাতালে) ছিলাম। তিনি একজনের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। যখন উনি জানতে পারেন আমি ওখানে আছি, তখন উনি আমার সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। উনি জিজ্ঞেস করলেন, কী হয়েছে তোমার? আমি বললাম, আমি পড়ে গেছি স্যার। জানতে চাইলেন, কেমন আছি? বললাম, সবে ৩-৪ দিন হয়েছে। তখন উনি (বীরু দেবগন) আমি যা বলব, সেটা করতে পারবে? আমি পাল্টা জিগ্গেস করলাম কী? ফের বললেন, করবে তো? আমি বললাম, ‘হ্যাঁ, করব স্যার। অতঃপর উন্ বললেন, সকালে উঠে সবার আগে প্রস্রাব পান করুন।’
এমন কথা শুনে অবাক হয়ে যান পরেশ রাওয়াল। এরপর বীরু দেবগন তাঁকে বিষয়টা বুঝিয়ে বলেন, ‘সকালে উঠে সবার আগে মূত্র পান করুন। সব যোদ্ধারাইই এটা করে। কোনো অসুবিধা হবে না। কিচ্ছু হবে না কখনোও। প্রথমে প্রস্রাব পান করুন। তবে আগের দিন রাতে মদ, মটন, তামাক এসব কিচ্ছু খাওয়া যাবে না। স্বাভাবিক খাবার দাবার খাবে, তারপর সকালে উঠে সবার আগে প্রস্রাব পান করবে। আমি বললাম, ঠিক আছে, আমি পান করব।’
পরেশ রাওয়াল কি মেনে ছিলেন সেই পরামর্শ?
পরেশ রাওয়াল বলেন, ‘উনি তো চলে গেলেন, পরের দিন সকালে আমি প্রথমে নিজেকে প্রস্তুত করলাম।’ তাঁর কথায়,' আমি ঠিক করলাম, প্রস্রাব যদি আমায় পান করতেই হয় তাহলে আমি সেটা এক ঝটকায় গলায় ঢালব না। আমি চুমুক দেব এবং এটা ধীরে ধীরে বিয়ারের মতো পান করব। কারণ এটা যখন করবই ভালোভাবেই করব। এরপর আমি ১৫ দিন ধরে এটা করেছি। তারপর যখন ডাক্তাররা ১৫ দিন পর এক্স-রে করেছিলেন, তখন তারা বলেন, ‘এভাবে এই জায়গায় সিমেন্টিং কীভাবে হল? সেখানে শুধু একটা সাদা দাগ দেখা যাচ্ছিল।’
পরেশ জানান, দেড় মাস, আড়াই মাসের মাথাতে যেখানে আমার হাসপাতাল ছাড়া পাওয়ার কথা ছিল সেখানে ১৫দিনেই তিনি সুস্থ হয়ে যান।