প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা বিধু বিনোদ চোপড়া জানিয়েছেন তাঁর মেয়ে ইশা বিনোদ চোপড়া কীভাবে বাইপোলার ডিসঅর্ডারের সঙ্গে যুদ্ধ করছেন। এই বিষয়ে ইশা একটি বইও লিখেছেন। এই লেখার মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে যে একজন কীভাবে তাঁর মানসিক সমস্যাগুলি মেনে নিয়ে তার সম্মুখীন হতে পারবে। এই বিষয়ে ইশা এই বইতে খুব খোলামেলা ভাবেই কথা বলেছেন। মেয়ে ইশার এই বই 'ফাইন্ডিং অর্ডার ইন ডিসঅর্ডার' একই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হওয়া ব্যক্তিদের উপর একটি গভীর প্রভাব ফেলতে পারবে বলে আশাবাদী বিধু বিনোদ চোপড়ার।
কেন তিনি ভেবেছিলেন যে ইশার লেখাগুলি একটি বই হয়ে উঠতে পারে, সে প্রসঙ্গে বিধু বিনোদ চোপড়া বলেন, 'আমি অনুভব করেছি যে ওঁর লেখাগুলি আরও অনেক মানুষকে পথ দেখাতে পারে, তাঁদের সমস্যার সমাধানে সাহায্য করতে পারে। অনেকের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকে না, তাঁরা সমস্যার সম্মুখীন হন, নানা চাপের মধ্য দিয়ে যান, কিন্তু তাঁরা সেটা মানতে চান না। যখন আমার মেয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করে ছিল এই বইয়ের নাম কী দেব? তখন আমি ওঁকে পরামর্শ দিয়েছিলাম 'অর্ডার ইন ডিসঅর্ডার ফাইন্ডিং' এই নামটি রাখতে। আমি সত্যি বিশ্বাস করি যে, অনেকেই এই অর্ডারটি খুঁজে বের করতে হবে এবং এই বইটি তাঁদের অনেকটা সাহায্য করতে পারবে।'
আরও পড়ুন: 'দ্য ফ্যামিলি ম্যান ৩'-এর অপেক্ষার মাঝেই নতুন খবর, আসছে সিরিজের চতুর্থ সিজনও!
আরও বিশদভাবে তিনি বলেন, 'যখন আমি প্রথম শুনলাম যে ইশা অসুস্থ, তখন আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের পারিবারিক ডাক্তারকে আমি ফোন করেছিলাম। আমি তাঁর কাছে অনেক কৃতজ্ঞ। তিনি আমার মেয়েকে বড় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ইশার মধ্যে বাইপোলার ডিসঅর্ডারের সমস্যাটা প্রথম শনাক্ত করেছিলেন। তখন তিনি আমাকে যেভাবে গাইড করেছিলেন তার জন্য ওঁকে ধন্যবাদ জানালেও কম হবে, আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে এটি অন্য যে কোনও অবস্থার মতো, এবং আমাদের সকলকে এর সঙ্গে লড়াই করতে হবে।'
তিনি ইশার ছবি আঁকা নিয়েও নানা কথা বলেছেন। তিনি বলনে, 'ইশা যখন পুনেতে ছিল, তখন ওঁর একজন ভালো গুরু ছিলেন। আমি বুঝতে পেরেছিলাম, বিশেষ করে যখন আমি ইশাকে ওঁর এই মানসিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে দেখেছি, তখন সেই শিল্পটি সত্তা ওঁকে সাহায্য করেছিলেন বেরিয়ে আসতে। যদি কেউ মানসিক সমস্যার জন্য কোনও কাজ না করে বসে থাকেন তখন সেই সমস্যা তাঁকে আরও জড়িয়ে ধরে। কিন্তু সেই সব সমস্যা ভুলে যদি ছবি আঁকা, নাচ করা বা এই ধরনের গঠনমূলক কাজে অংশগ্রহণ করে তখন সমস্যা নিয়ে ভাবাটা অনেকাংশে কম হয়।'
আরও পড়ুন: বিজয় সেতুপতির অভিনীত ‘মহারাজা’-এর মুকুটে নতুন পালক! কী অর্জন করল এই ছবি?
তিনি আরও বলেন, 'আমার কাজ ছিল ওঁর মানসিক চাপ কিছুটা কমানো। এটাই আমার মনে হয় অভিভাবক বা পরিবারের প্রথম কাজ। পরিবারের কোনও সদস্য কষ্ট পেলে তাঁর মন থেকে সমুদ্র মন্থনের মতো করে বিষ বের করে নিতে হবে, তাঁর সুস্থতার জন্য ধৈর্য্য ধরতে হবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাঁকে সহ্যও করতে হবে।'