ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে পবিত্র রমজান মাস ঘিরে সাজো সাজো রব। এরই মাঝে সেদেশের রাজধানী ঢাকায় বাসিন্দাদের নিরাপত্তাকে নজরে রেখে পুলিশের গোয়েন্দা বাহিনী ‘ অল আউট অ্যাকশন’এ নামতে চলেছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র খবর অনুযায়ী, এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হল, এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ।
বাংলাদেশের ঢাকার পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ, ছোট বড় যেকোনও রকমের অপরাধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে এগোবে। তাঁদের তরফে জানানো হয়েছে, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই উদ্য়োগ। ঢাকা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা বিভাগ) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন,' রমজান মাসে নগরবাসীর নিরাপত্তা বিধানের জন্য ক্লান্তিহীন কাজ করে যাচ্ছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ। ডিবি বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।' শনিবার, এক সাংবাদিক সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন,' আজ থেকে আমরা ডিবির চলমান কার্যক্রমের পাশাপাশি রমজানকে সামনে রেখে বিশেষ অভিযান শুরু করতে যাচ্ছি। এটা হচ্ছে একধরনের বিশেষ গোয়েন্দা অভিযান। যেটাতে ছদ্মবেশে আমাদের সদস্যরা মানুষের মধ্যে থেকে অপরাধীদের শনাক্ত করবেন।' উল্লেখ্য, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। সেখানে যাতে কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার দিকে তাকিয়ে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বাংলাদেশের ঢাকার পুলিশের তরফে।
( Shanidev Uday 2025: শনিদেবের উদয় কবে? রইল তারিখ, সময়, ভাগ্যে সোনার চমক আসতে পারে বৃষ সহ ৩ রাশির)
( Manipur: মণিপুরের রাস্তায় অবাধ যাতায়াত নিশ্চিত করতে বড় নির্দেশ শাহের, কবে থেকে? 'তারিখ' জানিয়ে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী)
মানুষের জমায়েত যেখানে বেশি হয়, সেই সমস্ত জায়গায় নজর থাকবে গোয়েন্দাদের। সেখানে যাতে নাশকতার ছক কেউ বুনতে না পারেন, তার জন্য উদ্যোগী হবে বাংলাদেশের প্রশাসন। রেজাউল করিম মল্লিক জানিয়েছেন, বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়াও বাস দুর্ঘটনা সহ নানা অপ্রীতিক অবস্থা যাতে এড়ানো যায়, তার দিকেও নজর রয়েছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগের। তিনি বলছেন, নাবালক, ও কিশোর বয়স্ক গ্যাং, এলাকায় চুরি, ছিনতাইয়ের সঙ্গে যুক্ত। সেদিকেও নজর রয়েছে প্রশাসনের। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যৌথ বাহিনী সারা বাংলাদেশে মোতায়েন থাকছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা. বাংলাদেশের সেনা বাহিনীকে ‘ বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে তাদের সহায়তা’করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়।