পহেলগাঁও হানার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক আরও তলানিতে চলে গিয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে টানা জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তে পাকিস্তানি সেনার তরফে লাগাতার হালকা গুলিবর্ষণ চলছে। সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে বিনা প্ররোচনায় সীমান্ত পারের পাকিস্তানি পোস্ট থেকে চলছে গুলিবর্ষণ। তার উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে এদিকের ভারতীয় সেনাও। অন্যদিকে, আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে কয়েক শত পাকিস্তানি ফিরে গিয়েছেন দেশে। পাকিস্তান থেকেও ভারতে এসেছেন শতাধিক। এই সংখ্যা কত?
লাগাতার ষষ্ঠ দিনেও কাশ্মীরের পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ধেয়ে এল পাকিস্তানি সেনার গুলি। ভারতীয় সেনা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,' ২০২৫ সালের ২৯-৩০ এপ্রিল রাতে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পোস্টগুলি জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নওশেরা, সুন্দরবানি এবং আখনুর সেক্টরের বিপরীতে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে বিনা প্ররোচনায় ছোট অস্ত্রের গুলিবর্ষণ শুরু করে। ভারতীয় সেনাবাহিনী দ্রুত এবং আনুপাতিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়।' দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে সংঘাতের বাতাবরণ ফের চাগার দিয়েছে গত ২২ এপ্রিল থেকে। সেদিনের অভিশপ্ত দুপুরে পহেলগাঁওতে জঙ্গিরা নৃশংসভাবে ২৬ জনকে গুলি করে হত্যার পর থেকে পাকিস্তান নিয়ে কড়া পদক্ষেপে রয়েছে ভারত। একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিয়েছে দিল্লি। তারপর থেকেই উত্তেজনা সীমান্তে।
( পহেলগাঁও নিয়ে UNSCতে পিচ প্রস্তুতি দিল্লির? ৭ অস্থায়ী সদস্যের সঙ্গে কথা জয়শংকরের, এল UN চিফের ফোন)
ফিরলেন পাকিস্তানিরা, এলেন ভারতীয়রা:-
এদিকে, দিল্লির নির্দেশ ছিল গত ২৪ এপ্রিল থেকে ৬ দিনের মধ্যে ভারতে থাকা সমস্ত পাকিস্তানি নাগরিককে বেরিয়ে যেতে হবে। সংবাদ সংস্থআ এএনআইএর তথ্য বলছে, এপর্যন্ত আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারত থএকে ৭৮৬ জন পাকিস্তানি দেশে ফিরে গিয়েছেন। অন্যদিকে, পাকিস্তান থেকে ১৩৭৬ ভারতীয় ফিরে এসেছেন এই সীমান্ত দিয়ে দেশে। এদিকে, প্রতিটি রাজ্যে কোথাও কোনও পাকিস্তানি থাকলে, তার খতিয়ান চলছে। শণাক্ত করা পাকিস্তানিদের। খতিয়ে দেখা হচ্ছে পরিচয়।