সংসদে তাঁদের গলা উচ্চগ্রামে শোনা যায়। এনডিএ সরকারের যেসব সিদ্ধান্ত তাঁদের জনহিতকর বলে মনে হয় না তা নিয়ে সোচ্চার হন তাঁরা। ইন্ডিয়া জোটের মধ্যেও তাঁরা বেশ জনপ্রিয়। সংসদীয় রাজনীতিতে বিরোধীদের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম তাঁরা। হ্যাঁ, তৃণমূল কংগ্রেস। এই দলের পাঁচজন সাংসদ এবার নতুন করে জায়গা পেলেন পুনর্গঠিত সংসদের এস্টিমেটস কমিটিতে। এই নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কাউকে নিয়ে কিছু বিতর্ক থাকতেই পারে। কিন্তু সংসদীয় কমিটিতে জায়গা পেলেন তাঁরা।
এদিকে লোকসভার সচিবালয়ের পক্ষ থেকে মোট ৪টি সংসদীয় কমিটির পুনর্গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এই সংসদীয় কমিটিগুলির সদস্য হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের মোট ৪ জন লোকসভার এবং ১ জন রাজ্যসভার সাংসদের নাম। কিন্তু তাঁরা কারা? এই প্রশ্নের উত্তর এখন সকলে জানতে চায়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্যসচেতক তথা বিশিষ্ট আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ সৌগত রায়, সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরও জায়গা পেয়েছেন সংসদীয় কমিটিতে।
আরও পড়ুন: স্কুল খুলবে কবে? প্রশ্ন পড়ুয়াদের, কোনও নির্দেশিকা এখনও জারি করেনি শিক্ষা দফতর
অন্যদিকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আগেও ছিলেন। এবারও রইলেন। ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে আলোচনার সময়ই বিজেপির সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন কল্যাণবাবু। এমনকী তাঁর হাত থেকে কাচের বোতল ভেঙে যায়। তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। ভরা লোকসভায় চু কিত কিত খেলার কথাও সামনে আনেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বরাবরই বিজেপি বিরোধী মুখ তিনি। তারপরও জায়গা পেলেন তাঁর মেধার জন্যই। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ষীয়ান এবং সংসদ হাতের তালুর মতো চেনেন। তার সঙ্গে সংসদীয় নিয়ম একেবারে মুখস্থ। সৌগত রায়ের ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য। প্রতিমা মণ্ডল এবং মমতাবালা ঠাকুর মহিলা প্রতিনিধি হিসাবে জায়গা পেলেন।
এছাড়া পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিতে এবারও সদস্য থাকছেন সৌগত রায়। পাবলিক আন্ডারটেকিংস বিষয়ক সংসদীয় কমিটিতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব করবেন দলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তফসিলি জাতি ও উপজাতি উন্নয়ন বিষয়ক কমিটিতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসেবে থাকছেন লোকসভার সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। এই কমিটিতেই থাকছেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরও। তবে পুনর্গঠিত কমিটিগুলির মাথায় বসানো হয়েছে শুধুমাত্র বিজেপি সাংসদদেরই।