পুজো তো এসেই গেল। এর সঙ্গেই পুজোর ভিড়ে ইভটিজারদের দৌরাত্ম্য শুরু হতে পারে পুরোদমে। পাল্লা দিয়ে বাড়তে পারে ছিনতাইয়ের ঘটনা। যাত্রীদের ভিড়ে মিশে গিয়ে পকেট ফাঁকা করতে এদের জুড়ি মেলা ভাড়। তবে এবার কিন্তু সেই ভিড়েই মিশে থাকবে আরপিএফের প্রমীলা বাহিনী। একেবারে সাদা পোশাকেই ভিড়ে মিশে থাকবেন তাঁরা। আর কোথাও কোনও বেচাল দেখলেই একেবারে কড়া দাওয়াই। ইভটিজিং ও ছিনতাই রুখতে বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে আরপিএফের মহিলা বাহিনীকে। ভিড়ের মধ্যে থেকেও তারা নজর রাখবেন সন্দেহভাজনদের প্রতি। এরপরই শুরু হবে তাকে অনুসরণ করার পালা। হাতে নাতে ধরতে পারলে তো আর কথাই নেই। তবে আপাতভাবে দেখে বোঝার উপায় থাকবে না তাঁরা আসলে মহিলা আরপিএফ। অন্যদিকে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে রাত ১২টা পর্যন্ত মেট্রো রেল চলবে। তবে পুজোর সময়তেও স্মার্ট কার্ডই ব্যবহার করতে হবে যাত্রীদের। এর জেরে পুজোর সেই গিজগিজে ভিড় কিছুটা কম হতে পারে। তবে যাত্রী সুরক্ষার জন্য় কুইক রেসপন্স টিমকেও মজুত রাখা হচ্ছে। কোথাও কোনও সমস্যা হলেই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবেন তাঁরা। ভিড়ে মধ্যে মিশে কেউ নাশকতার ছক কষছে কি না নজর রাখা হবে তাতেও। সূত্রের খবর পুজোর কয়েকদিন প্রায় সাড়ে ৮০০ RPFকে মোতায়েন করা থাকবে বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনে। তবে এবার যাতীদের কোভিড সুরক্ষা মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করা আরপিএফের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এর সঙ্গেই বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনে মেডিক্যাল টিমও মজুত থাকবে। এর সঙ্গেই দমদম, দক্ষিণেশ্বর, শোভাবাজার, সুতানুটি, সেন্ট্রাল, যতীন দাস পার্ক, কালীঘাট, রবীন্দ্র সরোবর, গীতাঞ্জলি স্টেশনে আরপিএফের বুথ থাকবে। স্টেশন সংলগ্ন বড় পুজো মণ্ডপ যেখানে রয়েছে সেখানে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।