সম্প্রতি ট্রেনে ভুয়ো টিকিট পরীক্ষকের বারবাড়ন্ত দেখা দিয়েছে। কে আসল? কে নকল? তা বোঝা সম্ভব হচ্ছে না যাত্রীদের পক্ষে। ফলে এক দল ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক জরিমানার টাকা আদায় করে চম্পট দিচ্ছে। প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বহু যাত্রী। এমনকী তাঁদের ধরতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে রেলের আধিকারিকদের। এই অবস্থায় ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক ধরতে বিশেষ ব্যাজ চালু করেছে রেল। এই ব্যাজে রয়েছে বিশেষ কোড, যা দেখলেই চিহ্নিত করতে পারবেন রেলের অন্যান্য টিকিট পরীক্ষক এবং আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: TTE-র ধাক্কায় ট্রেন থেকে পড়ে আহত ব্যবসায়ী, ‘পা পিছলে গিয়েছিল’ দাবি রেলের
রেল সূত্রে বলা হচ্ছে, বিশেষ ব্যবস্থায় টিকিট পরীক্ষকদের অনায়াসে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। এর ফলে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা যাবে। জানা যাচ্ছে, শিয়ালদার সিনিয়র কমার্শিয়াল ডিভিশনাল ম্যানেজার যশরাম মিনার উদ্যোগে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। সম্প্রতি হাওড়া থেকে এক ভুয়ো টিকিট পরীক্ষককে গ্রেফতার করে আরপিএফ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, এই চক্রে আরও অনেকেই জড়িত, যারা ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক হিসেবে প্রতারণা চালাচ্ছেন। সেই বিষয়টি সামনে আসতেই ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক রুখতে তৎপর হয় রেলের কমার্শিয়াল বিভাগ। এই পদক্ষেপের পাশাপাশি রেলের টিকিট পরীক্ষকদের সতর্ক করা হয়েছে। কাউকে দেখে সন্দেহ হলেই আরপিএফকে খবর দিয়েছে বলা হয়েছে।
এদিকে, সম্প্রতি শিয়ালদা বিভাগে রেলের নতুন ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন রাজীব স্যাক্সেনা। তিনি সোমবার শিয়ালদা, রাণাঘাট বিভাগের রেলওয়ে কর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এর পাশাপাশি রাণাঘাট, বারাকপুর ও নৈহাটি-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন পরিদর্শন করেন। বিভিন্ন বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করে তিনি কার্যকরী দক্ষতা এবং সম্ভাব্য উন্নয়নের বিষয়গুলি সম্পর্কে তাঁদের মতামত ও অভিজ্ঞতা শুনেছেন। পাশাপাশি যাত্রীদের সঙ্গেও সরাসরি কথা বলেন ডিআরএম। স্টেশন চত্বরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন। যাত্রীদের কাছ থেকে সুবিধা অসুবিধা জানার চেষ্টা করেন। লক্ষ্য যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে রেলওয়ে পরিষেবাকে আরও উন্নত করে তোলা।