শুভব্রত মুখার্জি: ধরমশালায় হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে পঞ্চম টেস্টে মুখোমুখি হবে ভারত এবং ইংল্যান্ড। আগামী ৭ মার্চ থেকে শুরু হবে এই টেস্ট ম্যাচ। সিরিজে আপাতত ৩-১ ফলে এগিয়ে রয়েছে রোহিত শর্মা বাহিনী। এই টেস্ট জিতে স্বাভাবিক ভাবেই তারা চাইবে ৪-১ করতে। ধরমশালা টেস্ট শুরুর আগে যে বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় রয়েছে প্রায় সব মহল, তা হল এখানকার আবহাওয়া। ধরমশালাতে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা প্রায় দেখা যায়। কখনও মেঘ, কখনও বৃষ্টি, মাঝে মাঝেই আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটে। ভারত বনাম ইংল্যান্ড টেস্ট যে সময়ে অনুষ্ঠিত হবে, সেই সময়েও এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাত এমন কী শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তাতে সমর্থকদের কপালে স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তার ভাঁজ। তবে তাদেরকে আশ্বস্ত করছেন এখানকার পিচ কিউরেটর। তিনি জানিয়েছেন, বৃষ্টিপাত হোক কিংবা শিলাবৃষ্টি সব ধরনের পরিস্থিতিতেই তৈরি রয়েছে ধরমশালা।
আরও পড়ুন: T20 WC-এ ইন্দো-পাক ম্যাচের টিকিট কোটিতে বিকোচ্ছে, অথচ স্টেডিয়ামের কাজ অনেক বাকি, ছবি দিল ICC
তিনি জানিয়েছেন, পরিবেশ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আগেভাগেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বসানো হয়েছে ধরমশালার মাঠে। যাতে করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটলেও, যত কম সম্ভব বাধাবিপত্তি ছাড়াই ম্যাচ ফের শুরু করা যায়, তা তারা নিশ্চিত করবেন। স্পোর্টসনাওকে এক সাক্ষাৎকারে ধরমশালার পিচ কিউরিটের সুনীল চৌহান বলেছেন, ‘আমাদের কাছে সমস্ত ধরনের টেকনলেজি রয়েছে। সাব এয়ার সিস্টেম রয়েছে। যার মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করতে পারব যে, বেশিক্ষণের জন্য যাতে কোনও শিলা তৈরি না হয়। এর আগেও কঠিন পরিবেশে হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ম্যাচ আয়োজন করেছে। এটা নতুন কিছু নয়। কিন্তু ক্রিকেটাররা কখনও কোন সমস্যায় পড়েনি।তাদেরকে কোনও সমস্যা অনুভব করতেই দেওয়া হয়নি। কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে, ম্যাচ ফের শুরু করতে আমাদের মাত্র ৩০ মিনিট সময় লাগবে। মাঠে দৌড়তে ক্রিকেটারদের কোনও অসুবিধা একেবারেই হবে না।’
আরও পড়ুন: T20 World Cup-এ কি KKR তারকার জায়গা পাকা? ধরমশালায় রিঙ্কুর উপস্থিতি কি সেই বার্তাই দিল?
প্রসঙ্গত সাব এয়ার সিস্টেম হল একেবারে আধুনিক প্রযুক্তি। মাঠ যদি বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি বা কোনও কারণে ভিজে যায়, তাহলে তা মোকাবিলা করতে এই সিস্টেম দারুণ কাজে লাগে। অনেকটা মাটির নিচে নিকাশি ব্যবস্থার মতন কাজ করে এটা। বিশেষ করে ক্রিকেট পিচের ক্ষেত্রে এটা বেশি করে ব্যবহার করা হয়। মাঠের নিচে থাকে পাইপ। বৃষ্টির জল সরাসরি সেই পাইপে প্রবেশ করে। নিয়ন্ত্রিত এয়ার প্রেশার সিস্টেম জলকে নিমেষের মধ্যে টেনে বের করে দেয়। ফলে মাঠ ফের খেলার উপযোগী হয়ে ওঠে। মাঠের জল শুধু বের করে তাই নয়, আর্দ্রতাও নিয়ন্ত্রণ করে। ঘাসের গোড়ায় জমে থাকা আর্দ্রতাকে চট করে শুকিয়ে দেয়।ফলে বৃষ্টির কারণে বেশি ব্যাঘাত ঘটে না। ফলে পিচের চরিত্র যেমন বজায় থাকে তেমনি মাঠের আউটফিল্ডও থাকে শুকনো।