অবশেষে পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল মোদী সরকার। পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পর, এই আফ্রিদি ভারত এবং মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিষ উগরে দিচ্ছিলেন, তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে নিয়েও প্রশ্ন তুলছিলেন। তাঁদের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। যে কারণে আফ্রিদির উপর ক্ষোভে ফুঁসছিল গোটা ভারত। এবার মোদী সরকার আফ্রিদির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে। পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়কের ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে শহিদ আফ্রিদির ইউটিউব চ্যানেল ভারতে দেখা যাবে না। আফ্রিদির এই ইউটিউব চ্যানেলে লক্ষ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার রয়েছে এবং তিনি ভারত থেকেও প্রচুর ভিউ পেতেন। কিন্তু এখন ভারত সরকারের পদক্ষেপের পর, পাক প্রাক্তনীর অবশ্যই বিরাট ক্ষতি হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: IPL 2025-এর মেগা নিলামে করা ভুলটাই CSK-এর ব্যর্থতার আসল কারণ… চাঞ্চল্যকর দাবি জাদেজার
আগে ১৬টি পাক চ্যানেল বন্ধ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার
এর আগে ভারত সরকার ১৬টি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করেছিল। এই চ্যানেলগুলির বিরুদ্ধে মিথ্যা- বিভ্রান্তিকর এবং ভুল তথ্য, উস্কানিমূলক, সাম্প্রদায়িক এবং সংবেদনশীল বিষয়বস্তু ছড়ানোর অভিযোগ ছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ পাওয়ার পর, ভারত সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। এই চ্যানেলগুলির মধ্যে আবার চার জন পাকিস্তানি ক্রিকেটারের ইউটিউব চ্যানেলও ছিল। কিংবদন্তি বোলার শোয়েব আখতার, প্রাক্তন পাকিস্তানি অধিনায়ক বসিত আলি, প্রাক্তন পাকিস্তান অধিনায়ক রশিদ লতিফ এবং প্রাক্তন ফাস্ট বোলার তনভীর আহমেদের চ্যানেল এই তালিকায় থাকলেও, ছিল না আফ্রিদির চ্যানেলের নাম। তা নিয়ে বিতর্কও হয়েছিল। অবশেষে আফ্রিদির চ্যানেলও ভারতে নিষিদ্ধ হল।
পহেলগাঁও নিয়ে ভারতীয় সেনার ঘাড়ে দোষ চাপান আফ্রিদি
শহিদ আফ্রিদি ভারতের বিরুদ্ধে বহু বিতর্কিত মন্তব্য করে চলেছেন। তিনি দাবি করেছিলেন, পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলা ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্যর্থতা। তিনি এই সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানের যোগ থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। পাক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময়ে আফ্রিদি বলেছিলেন যে, ভারতে যদি কোনও বাজি ফাটে, তাহলে মানুষ পাকিস্তানকে দোষারোপ করে। তিনি বলেছিলেন, ‘ভারতে যদি কোনও বাজি ফাটে, তাহলে দোষটা পাকিস্তানের উপর বর্তাবে। কাশ্মীরে ৮ লক্ষ ভারতীয় সেনা মোতায়েন রয়েছে। তা সত্ত্বেও, যদি সেখানে এমন কোনও আক্রমণ ঘটে থাকে, তবে এটা স্পষ্ট যে ভারতীয় সেনাবাহিনী অযোগ্য। ভারতীয় সেনাবাহিনী কাউকে নিরাপত্তা দিতে পারে না।’
সাজানো ঘটনা বলে দাবি করেছিলেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক
পাকিস্তানের স্থানীয় মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আফ্রিদি আরও বলেছিলেন, ‘এক ঘণ্টা ধরে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা মানুষ মারল। আট লক্ষ ভারতীয় সৈন্যদের মধ্যে একজনকেও দেখা গেল না সেই সময়ে! কিন্তু ওরা পাকিস্তানকে দোষারোপ করে যাচ্ছে।’ প্রাক্তন পাক অলরাউন্ডারের মতে, পহেলগাঁও কাণ্ড পুরোটাই সাজানো। তিনি বলেছেন, ‘ভারত নিজেরাই সন্ত্রাসবাদ চালাচ্ছে। নিজের লোকেদের নিজেরাই খুন করছে এবং পাকিস্তানের উপরে দোষ চাপাচ্ছে। কোনও দেশ বা ধর্ম সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না। আমরা সব সময়ে শান্তির পক্ষে। শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে শেখায় ইসলাম। আমরা ভারতের সঙ্গে সব সময়ে সম্পর্ক ভালো রাখার চেষ্টা করে এসেছি।’