অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালে এক অভিনেত্রী মি টু অভিযোগ আনেন। এর আগে রূপাঞ্জনা মিত্রও একই রকম অভিযোগ এনেছিলেন। এদিন সেই প্রসঙ্গে কথা বললেন অরিন্দম শীলের বিচ্ছিন্না স্ত্রী তনুরুচি শীল।
আরও পড়ুন: একরত্তি রাহাকে ফেলে রাতের পর রাত বাইরে কাটাচ্ছেন রণবীর-আলিয়া! কেন?
কী বলেছেন তনুরুচি?
এদিন দ্য ওয়ালের তরফে তনুরুচিকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় যে তিনি তাঁর স্বামীর নামে ওঠা অভিযোগগুলো সত্য বলে বিশ্বাস করেন কিনা তিনি অকপটে জানান, 'সেটা আমি জানি না। তবে পুরোটা অবিশ্বাস্য হয় না। কারণ যে একজনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে, তাঁর কিন্তু টেনডেনসি থাকে বিশ্বাসঘাতকতা করার। যে একজনের বিশ্বাস ভাঙে সে যে আরেকজনের বিশ্বাস রাখবে সেটার কোনও মানে নেই।'
অভিযোগের ভিত্তিতে প্রমাণের কথা উঠতেই তনুরুচি বলেন, 'যে প্রমাণ আছে সেগুলোই তো যথেষ্ট। শুক্লা রায়ের সঙ্গে যে আছে সেটাই তো যথেষ্ট প্রমাণ। কেস চলছে সেখানে বলছে শুক্লা রায় আমার পরিবার। এটা কি যথেষ্ট প্রমাণ নয়? আর কত প্রমাণ? আর নতুন করে কী প্রমাণের আছে।' কিন্তু ডিভোর্স না দিয়ে শুক্লা রায়ের সঙ্গে থাকা তো মি টু নয়। সেটা পরকীয়া বললেও বলা যেতে পারে। তাহলে কেন এমনটা বললেন তনুরুচি? অরিন্দম শীলের বিচ্ছিন্না স্ত্রী বলেন, 'মি টু দিয়ে শুরু হয় বোধহয়। প্রাথমিক ভাবে মি টু থাকে। সবাই যখন জেনে যায় তখন সেটা আর মি টু নয়। পার্মানেন্ট হয়ে গেল। আর তাই যদি হয়, ওদের যদি এতই ভালোবাসা থাকে তাহলে কেন আবার মি টু কেসে জড়াচ্ছে?' তবে তনুরুচি এদিন এও জানান তাঁরা যতদিন একসঙ্গে সংসার করেছেন ততদিন অরিন্দম বিষয়ে এমন কোনও অভিযোগ শুনতে পাননি। তবে যেদিন শুক্লা রায়ের সঙ্গে অরিন্দমের সম্পর্কের কথা তিনি জানতে পারেন সেদিনই সেই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বলে তনুরুচি জানান।
আরও পড়ুন: ইরফানের জন্মদিনে আবেগঘন পোস্ট বাবিলের, 'বাবা'র জন্য লিখলেন, 'একজন যোদ্ধা ছিল যে পথপ্রদর্শক হয়ে...'
অরিন্দম শীলের স্ত্রী এদিন বলেন তিনি অভিনয়কে পেশা বানাতে চাইলেও পারেননি। তাঁর কথায়, 'সুযোগ ছিল। এসেও ছিল। কিন্তু ওদের বাড়ি থেকে চায়নি যে বউ সিনেমা করুক, সিরিয়াল করুক। তাই অফার পেয়ে ছেড়ে দিয়েছিলাম।'