যতই প্রস্তাব আসুক না কেন, বিজেপির সঙ্গে জোটে যাওয়া সম্পূর্ণ খারিজ করে দিল রাষ্ট্রীয় লোক দিলেন (আরএলডি) প্রধান জয়ন্ত চৌধুরী। মুজফফরনগরে দলীয় প্রচারে গিয়ে জয়ন্ত চৌধুরী স্পষ্টই জানিয়ে দেন, বিজেপির জন্য তাঁদের দরজা বন্ধ। একইসঙ্গে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে তাঁর দলের জোটই আসন্ন নির্বাচনে ভালো ফল করবে বলে আশাবাদী জয়ন্ত। সম্প্রতি মুজফফরনগরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধুরী। শুধু মুজফফরনগরই নয়, একইসঙ্গে বৈঠক করেন খাতৌলি ও বুধানাতেও। দলীয় প্রচারে এসে আরএলডি নেতা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন, তাঁরা এত বোকা নন যে তাঁরা তাঁদের মন বদলাবেন। গত বুধবার জাঠ নেতারা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেই সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আরএলডি নেতাকে জোটে আসার বার্তা দিয়েছিলেন। এমনই বক্তব্য প্রকাশ্যেই জানান আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধুরী। বিজেপির ওই জোটের প্রস্তাব সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়ে আরএলডি নেতা জানান, ‘লখিমপুর খেরির ঘটনা যখন হয়েছিল, তখন ওরা (বিজেপি) সব কোথায় ছিল। যখন সাধারণ মানুষকে হাথরাসে যাওয়ার পথে আটকানো হচ্ছিল, মারধর করা হচ্ছিল, তখন ওরা কোথায় ছিল।’ এরপরই জয়ন্ত চৌধুরী জানান, ‘বিজেপি আমাদের মোটেও হালকাভাবে নিচ্ছে না। ফলে আমাদের সিদ্ধান্ত পাল্টানোর কোনও প্রশ্নই নেই।’ ইতিমধ্যে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট করে জোরকদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছে আরএলডি। আসন্ন বিধানসভা ভোটে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোটে থাকার বার্তা দিয়ে আরএলডি প্রধান জানান, ‘আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ খুব বড়। যারা চৌধুরী চরন সিং ও অজিত সিংয়ের মতাদর্শ মেনে চলেন, তাঁদের কাছে এটা একটা বড় পরীক্ষার সময়। বিজেপি জিন্নার কথা বলে, ঔরঙ্গজেবকে কটূ কথা বলে। কিন্তু কর্মসংস্থান নিয়ে একটা কথাও বলে না। পাশাপাশি চিনি চাষের সঙ্গে যুক্তদের নিয়েও কোনও কথা বলে না।’ উল্লেখ্য, সংশোধিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকরা যে আন্দোলন সংগঠিত করেছিল, তাতে সামিল হয়েছিল আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধুরী। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘১৩ মাস ধরে আমরা ওই আন্দোলন চালিয়েছি। মুজফফরনগরের মানুষ আমাকে লাঠির আঘাত থেকে বাঁচিয়েছিল।’ কৃষক আন্দোলনে পাশে থাকার প্রভাব আরএলডি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পান কিনা, এখন সেটাই দেখার।