কার দখলে থাকবে দলীয় কার্যালয়? তাই নিয়ে ফের বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তপ্ত হয়ে উঠে এলাকা। দুপক্ষের মধ্যে লাগাতার ইটবৃষ্টি এবং ভাঙচুরের ফলে কার্যত রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়ন করা হয় বিশাল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী। দুই নেতার অনুগামীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। তাতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই অনেক কেন্দ্রে খারাপ ফল, মমতাকে জানিয়েছেন অভিষেক-রিপোর্ট
প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখের অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষ নতুন নয়। অনুব্রত জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেড়েছে। এর আগেও বেশ কয়েকবার সংঘর্ষে জড়িয়েছেন দুই নেতার অনুগামীরা। শনিবার ফের দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে সিউড়ি দু'নম্বর ব্লকের পুরন্দর পুর এলাকায়। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, এদিনের সংঘর্ষে বেশ কয়জনের মাথা ফেটেছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এই এলাকায় অনুব্রত গোষ্ঠীর সঙ্গে কাজল শেখ গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব গত কয়েকদিন ধরে চরমে উঠেছিল। এলাকায় কাজল শেখের অনুগামীদের মধ্যে রয়েছেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম। তিনি আবার ওই ব্লকের তৃণমূল সভাপতি। আর এলাকায় অনুব্রতর অনুগামীদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল নেতা তথা ব্লকের কার্যকরী সহ-সভাপতি অশ্বিনী মণ্ডল। মূলত কার দখলে এই এলাকার দলীয় কার্যালয় থাকবে তাই নিয়েই বেশ কয়েকদিন ধরে দুপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল।