প্রতীক্ষার আর পাঁচদিন। তারপরই ৩০ এপ্রিল দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হবে। এখন ওই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সাজ সাজ রব। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হচ্ছে। যার জেরে এখন দিঘা জমজমাট। কিন্তু এই উদ্বোধনের অনুষ্ঠান অনেকেই দেখতে পাবেন না। কারণ সবার পক্ষে দিঘায় আসা সম্ভব নয়। আবার যাঁরা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় থাকেন সেইসব বাসিন্দারাও দিঘায় উপস্থিত থাকতে পারবেন না। কারণ অতিরিক্ত মানুষজন সেখানে তখন ঢুকতে দেওয়া হবে না। তাই তাঁদের কথা ভেবে বড় সিদ্ধান্ত নিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।
কী ব্যবস্থা করা হচ্ছে? জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো হচ্ছে জেলাজুড়ে। যাঁরা আসতে পারবেন না অথবা ভিড় ঠেলতে চাইবেন না গরমে তাঁরা যাতে বাড়িতে বসে গোটা উদ্বোধনের অনুষ্ঠান চাক্ষুষ করতে পারেন। পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষজন সরাসরি জায়াট স্ক্রিনের মাধ্যমে সমস্ত মানুষজনকে দেখানো হবে। পথচলতি মানুষ থেকে এলাকার মানুষজন বিনা ভিড় ঠেলে তা দেখতে পাবেন। তাই প্রত্যেকটি ব্লকের বিডিওকে এই ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ২৫টি ব্লক এবং পাঁচটি পুরসভায় এখন সেই প্রস্তুতিই চলছে। নানা হলঘরে গিয়ে যাতে মানুষ নিশ্চিন্তে বসে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের অনুষ্ঠান দেখতে পায় সেই ব্যবস্থা চলছে। এই বিষয়ে জেলাশাসক বলেন, ‘জেলাজুড়ে এলইডি স্ক্রিন বসানো হচ্ছে। যার সাহায্যে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি দেখানো হবে।’
আরও পড়ুন: ইসলাম ধর্ম ছাড়লেন বাংলার শিক্ষক! ধর্মত্যাগের সিদ্ধান্ত কেন নিলেন বাদুড়িয়ার মাস্টার?
আর কী করা হবে? এই জগন্নাথধামের উদ্বোধন হয়ে গেলে সমুদ্রসৈকতের পাশাপাশি মন্দির নিয়ে এই পর্যটনকেন্দ্রের বৃত্ত চূড়ান্ত হবে। মিষ্টির দোকান হবে। আর সেখানে মিলবে বাংলার মিষ্টি। এই উদ্বোধনের দিন এলাকার পুরোহিতদের সংবর্ধনা জানানো হবে। এই পরিকল্পনা নিয়ে ভগবানপুর–২ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দীপঙ্কর খাটুয়ার বক্তব্য, ‘আমরা দলের পক্ষ থেকে জায়ান্ট স্ক্রিন লাগিয়ে উদ্বোধনের অনুষ্ঠান সরাসরি দেখানোর ব্যবস্থা করছি। আর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যাঁরা বয়স্ক ব্রাহ্মণ তাঁদের সংবর্ধনা দেবো।’
আর কী জানা যাচ্ছে? ইতিমধ্যেই রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসু, স্নেহাশিস চক্রবর্তী জগন্নাথধাম ঘুরে দেখেছেন। সমস্ত ব্যবস্থা ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করেন। পর্যটকরা এলে কেমন করে সামলাতে হবে, ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা কেমন দিতে হবে, জগন্নাথ মন্দিরের নিরাপত্তা, পুজোর কাজ, উদ্বোধন–সহ নানা বিষয় দেখে নেওয়া হয়েছে। মোট ১০০জন দমকল কর্মীকে ওইদিন দিঘায় রাখা হচ্ছে। ডিজি এখানে থাকবেন। তার সঙ্গে মোট ১৫ জন উচ্চপদস্থ অফিসার এবং ১৫ জন ইন্সপেক্টর দিঘায় থাকবেন। পাঁচটি অস্থায়ী হেলিপ্যাড ও পাঁচটি পার্কিং জোন থাকছে। এখানে এখন ৬ হাজার চেয়ার পাতার কাজ চলছে। ৩০০টি কুলার থাকছে। আলোয় সেজে উঠেছে গোটা এলাকা। এখানেই নিয়োগ করা হবে ১০০ জন সিভিক ভলান্টিয়ার।