ফের ধীরে ধীর ছন্দে ফেরার চেষ্টা মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ। সেই সামশেরগঞ্জে আজ গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। জাফরাবাদে খুন হওয়া হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসের বাড়িতেও যান সুকান্ত। নিহতের পরিবার সহ মুর্শিদাবাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে সুকান্ত মজুমদার আজ বলেন, 'ভয় পাবেন না, ভয় পেলে বেশি ভয় দেখাবে। আমরা পাশে আছি। প্রয়োজনে আবার আসব।' এর জবাবে দাস পরিবার বলে, আমরা ভয় পাইনি। আমরা এখানেই থেকেছি। আমরা পালিয়ে যাইনি। এরই সঙ্গে জাফরাবাদে খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবারসদস্য দাবি করেন, বিএসএফের স্থানীয় ক্যাম্প যাতে তৈরি করা যায়, তার জন্যে স্থানীয়রাই জমি দিতে ইচ্ছুক। সুকান্ত এরপর আশ্বাস দেন, তিনি অমিত শাহের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলবেন। (আরও পড়ুন: বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের জারির দাবি, শুনল না SC, নতুন আবেদন জমার অনুমোদন)
আরও পড়ুন: গেলেন তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়করা, বন্ধ হল মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়াদের আশ্রয় শিবির
এদিকে সুকান্ত মজুমদার আজ মুর্শিদাবাদে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা জনগণের দাবির সাথে আছি। কিছু লোক এনআইএ তদন্তের জন্য আদালতে গিয়েছেন। আমাদের সকলের চোখ এখন আদালতের দিকে। যদি কলকাতা হাইকোর্ট এনআইএ তদন্তের অনুমতি দেয়, তাহলে সরকার তা অনুসরণ করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন যাতে তাদের (ভুক্তভোগীদের) ফেরত পাঠানোর হয়। কিন্তু তারা কোথায় যাবে? তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।' (আরও পড়ুন: ১০ দিন পর স্কুল খুলল ধুলিয়ানে, ক্ষত ভুলে এখন কেমন আছে মুর্শিদাবাদ?)
এদিকে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে অবশ্য এখন পরিস্থিতি ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছে। আজ ১০ দিন পর সেখানে স্কুল খুলেছে। এদিকে মালদার স্কুলের আশ্রয় শিবিরে যে সব পরিবর ছিল, তাদের গতকালই মুর্শিদাবাদে তাদের বাড়িতে নিয়ে গেছে পুলিশ। মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার এসপি আনন্দ রায় জানান, এখন সেখানে পরিস্থিতি শান্ত। সবই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। ওয়াকফের নামে যে হিংসা ও তাণ্ডবলীলা চলেছিল, তাতে ১৫৩টি মামলা দায়ের হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৯২ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।