পুরীগামী এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি কোচের নীচে আগুন লাগল। তবে বড়সড় কোনও বিপদ নেই। ইস্ট-কোস্ট রেলের (পূর্ব উপকূলীয় রেল) কর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার পরে ওড়িশার নুয়াপাড়ায় ডাউন ১৮৪২৬ দুর্গ-পুরী এক্সপ্রেসের এসি কোচের নীচে আগুন দেখা যায়। ব্রেক প্যাডের সংঘর্ষের জেরে সেই আগুন লেগেছিল। দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলেন দমকল কর্মীরা। কোচের মধ্যে আগুন ছড়ায়নি। কোনও হতাহতেরও খবর মেলেনি। কিছুক্ষণ পরে পুরীর উদ্দেশে রওনা দেয় ডাউন ১৮৪২৬ দুর্গ-পুরী এক্সপ্রেস। সেইসঙ্গে বুধবার রেলকর্মীদের তৎপরতায় ভদ্রকে বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। লাইনের ইন্টারলকিংয়ের মধ্যে বোল্ডার ফেলে দেওয়া হয়েছিল। সময়মতো ওই বোল্ডার না সরানো হলে ভয়ংকর বিপদ ঘটতে পারত।
বরাতজোরে দুর্গ-পুরী এক্সপ্রেসের
ইস্ট-কোস্ট রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা সাত মিনিটে ওড়িশার নুয়াপাড়া জেলার নুয়াপাড়া খারিয়ার স্টেশনে ঢোকে দুর্গ-পুরী এক্সপ্রেস। যে স্টেনশন ওড়িশা ও ছত্তিশগড়ের সীমান্তে অবস্থিত। সেইসময় ধোঁয়ায় ভরে যায় বি৩ কোচ। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। তাঁরা দ্রুত রেল কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। তারপর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল বাহিনী।
রেলের কর্তারা জানিয়েছেন, ট্রেনের চেন টানার পর ব্রেক প্যাড ঠিকমতো কাজ করেনি। ব্রেক প্যাডের সংঘর্ষের জেরে আগুন লেগে যায়। আগুন নেভানোর পর রাত ১১ টা নাগাদ পুরীর উদ্দেশে রওনা দেয় সেই এক্সপ্রেস ট্রেন। ইস্ট-কোস্ট রেলের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, 'ব্রেক প্যাডের সংঘর্ষের জেরে আগুন ধরে যায়। তবে কোচের মধ্যে আগুন ছড়ায়নি।'
ভদ্রকে বড় বিপদ থেকে রক্ষা
রেলকর্মীদের তৎপরতায় ভদ্রক জেলায় মঞ্জুরি রোড স্টেশনে ভয়ংকর বিপদ এড়ানো গিয়েছে। রেলের কর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার মঞ্জুরি রোড স্টেশনের ইন্টারলকের মধ্যে একটি বিশাল বোল্ডার উদ্ধার করা হয়। যা এক রেলকর্মীর চোখে পড়ে। দ্রুত রেল আধিকারিকদের খবর দেন তিনি তড়িঘড়ি ওই বোল্ডার সরিয়ে দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে রেলের কর্তাদের বক্তব্য, ইন্টারলকে যে বোল্ডার ছিল, সেটা যদি না সরানো হত, তাহলে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে যেত। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের মতো ভয়াবহ দুর্ঘটনা হতে পারত। আরপিএফ ইনস্পেক্টর দিলীপ কুমার জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে স্টেশন ম্যানেজার অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঠিক সাতদিন আগে ওড়িশার বালাসোরে বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছে মালগাড়িতে ধাক্কা মেরে লাইনচ্যুত হয়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল করমণ্ডলের ২১ টি কোচ। কয়েকটি কোচ অন্য লাইনেও ছিটকে পড়েছিল। সেইসময় অন্য লাইন দিয়ে আসছিল ডাউন SMVT বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। যা করমণ্ডলের কোচে ধাক্কা মেরেছিল। লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল হাওড়াগামী ট্রেনেরও একাধিক কোচ। ওই ঘটনায় প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১,০০০-র বেশি।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক